রাবি ছিনতাই

ছিনতাইয়ের বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে চাপের মুখে পড়েন অভিযুক্তরা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড়াতে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে ছিনতাই ও মারধরের শিকার হয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইবলিশ চত্বরে ছিনতাইয়ের শিকার হন ফারুক হোসেন নামের ওই ইবি শিক্ষার্থী। বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে চাপের মুখে ছিনিয়ে নেওয়া ফোন ফেরত দিতে বাধ্য হন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।   

ভুক্তভোগী ফারুক হোসেন ইবি’র মার্কেটিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। আর অভিযুক্তরা হলেন- রাবির ফোকলোর বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম, দর্শন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ঝলক সরকার, তৃতীয় বর্ষের মেহেদী হাসান পারভেজ, ইমরান হোসেন এবং আতিক। তাদের মধ্যে মনিরুল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক। বাকিরা কর্মী।

ফারুক জানান, রাত ৮টার দিকে রিকশা করে মন্নুজান হলের সামনে দিয়ে কাজলার দিকে যাওয়ার সময় কয়েকজন যুবক পথরোধ করে তাকে ইবলিশ চত্বরে নিয়ে যায়। সেখান তাকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে ফোন কেড়ে নেয় অভিযুক্তরা। কিছুক্ষণ পরে মোটরসাইকেলে তুলে হবিবুর রহমান হলের ৩০৬ নম্বর কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “ওই কক্ষে ঘণ্টাখানেক আটকে রেখে আমাকে শারীরিক নির্যাতন করে ছাত্রলীগের ৫-৭ নেতাকর্মী। একপর্যায়ে তারা আমার হাতে দেশীয় অস্ত্র তুলে দিয়ে ছবি তোলে। পরে আবার মারধর করে। মারধর শেষে তারা মোটরসাইকেলে করে শহীদুল্লাহ কলা ভবনের সামনে নামিয়ে দিয়ে যায়।”

বিষয়টি জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার হস্তক্ষেপে ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়।

এবিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, “সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে আমি হবিবুর রহমান হলে গিয়ে ফোনটি উদ্ধার করি। অভিযুক্তদের মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করতে চাইলে তারা এধরনের কাজ করবে না বলে অঙ্গীকার করে। পরে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। পরে তারাই বসে সমাধান করেছে। তারপরেও কেউ লিখিত অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।