দর্পণ ডেস্ক : প্রতি বছর নভেম্বর মাসের চতুর্থ বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলে এবং অক্টোবরের দ্বিতীয় সোমবার কানাডায় পালিত হয় থ্যাংকসগিভিং ডে। এটি অনেকটা বাঙালির নবান্ন উৎসবের মতো একটি অসাম্প্রদায়িক উৎসব।

এ বছরের থ্যাংকসগিভিং ডে-তে অন্য যেকোনও সময়ের তুলনায় অনলাইন কেনাকাটায় অনেক বেশি অর্থ ব্যয় করেছেন মার্কিনিরা। এবারের উৎসবে ঘিরে তারা ইন্টারনেটভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ৫১০ কোটি ডলার খরচ করেছেন, যা গত বছরের তুলনায় অন্তত ২১ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। সম্প্রতি অ্যাডোবি অ্যানালাইটিকসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এবছর করোনাভাইরাসের কারণে মানুষ এমনিতেই স্বশরীরে দোকানে যাওয়ার বদলে অনলাইনে কেনাকাটায় বেশি আগ্রহী। তার ওপর উৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন ছাড় দেয়ায় বেচাকেনা বেড়েছে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে। যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৬ নভেম্বর পালিত হয়েছে থ্যাংকসগিভিং ডে।

অ্যাডোবি অ্যানালাইটিকস জানিয়েছে, এবারের উৎসবে মার্কিনিরা অনলাইনে ৫০ শতাংশ খরচই করেছেন স্মার্টফোন কেনায়।

যেসব প্রতিষ্ঠান বা প্ল্যাটফর্মগুলোর কার্বসাইড পিকআপ সার্ভিস রয়েছে, ক্রেতারা তাদের দিকেই বেশি ঝুঁকেছেন। এধরনের সেবার ক্ষেত্রে সাধারণত ক্রেতারা অনলাইনে পণ্য কেনার পর সেটি হাতে পেতে কোনও নির্দিষ্ট স্থানে আসেন। তবে এর জন্য তাদের গাড়ি থেকে নামার দরকার হয় না, ফলে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে।

তবে এবছর অনলাইন বেচাকেনায় নতুন রেকর্ড হলেও তার পরিমাণ অ্যাডোবির পূর্বাভাসের চেয়ে বেশ কম। প্রতিষ্ঠানটির ধারণা ছিল, এবছর থ্যাংকসগিভিংয়ে অনলাইন কেনাকাটার পরিমাণ ৬০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

অ্যাডোবি অ্যানালাইটিকসের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে থ্যাঙ্কসগিভিংয়ের পরেরদিন ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে অনলাইনে ১ হাজার ৩ কোটি এবং এরপর সাইবার মনডেতে ১ হাজার ২৭০ কোটি ডলারের পণ্য বিক্রি হতে পারে।

করোনা সম্পর্কিত বিধিনিষেধের কারণে অনেক ক্রেতা দোকানে ঢুকতে না পেরে প্রয়োজনীয় পণ্য অনলাইনেই কিনবেন। এর কারণেই থ্যাংকসগিভিংয়ের পরেও অনলাইন কেনাকাটায় বাড়তি চাপ থাকতে পারে বলে জানিয়েছে অ্যাডোবি।