(ছবি-প্রতীকী) দর্পন ডেস্ক : পাড়ারই এক বাড়িতে সকালে পূজার জন্য ফুল তুলতে গিয়েছিলেন সত্তরোর্ধ্ব এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা। সেই সময়ে সেই বাড়ির দুই মহিলা তাকে মাটিতে ফেলে মারধর করেন। শুধু তা-ই নয়, ওই বৃদ্ধা ফুল তোলার নামে ‘তুকতাক’ করেন বলেই ওই বাড়িতে সন্তানের জন্ম হচ্ছে না, এমন অপবাদও দিতে থাকেন তারা। অভিযোগ, মারধরের পরে ওই বৃদ্ধার মাথার চুলও কেটে নেয়া হয়।

মফস্বল বা গ্রাম নয়, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সদর বারাসতে শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটেছে। বারাসত থানায় অভিযোগ জানিয়েছে বৃদ্ধার পরিবার।অভিযুক্ত দুই মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনই সকালে উঠে পাড়ার বিভিন্ন বাড়ি থেকে ফুল সংগ্রহ করে নিজের বাড়িতে পূজা করেন বারাসতের বনমালিপুরের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধা। বারাসত থানায় দায়ের করা অভিযোগে তিনি জানান, এ দিন ওই বাড়িতে যাওয়ার পরে হঠাৎই তার উপরে চড়াও হন এক মহিলা ও তার শাশুড়ি। তিনি প্রতিদিন ফুল তুলে নিয়ে যান বলেই ওই পরিবারে সন্তান-সন্ততি জন্ম নিচ্ছে না, এমন অপবাদ দিয়ে তারা দু’জন ওই বৃদ্ধাকে মাটিতে ফেলে মারধর করেন। তার চুলও কেটে নেওয়া হয়। মারের চোটে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন ওই বৃদ্ধা। প্রতিবেশীরা এসে চোখেমুখে জল দিয়ে তাকে স্বাভাবিক করে তোলেন।

ওই বৃদ্ধা আরও বলেন, ‘আমাকে মারতে মারতে চুলের মুঠি ধরে টেনে নিয়ে চুল কেটে নেওয়া হয়েছে।’

ঘটনার ভয়াবহতার কথা ভুলতে পারছেন না তিনি। আতঙ্কিত গলায় বললেন, ‘আমাদের সম্ভ্রান্ত পরিবার। এমন অপবাদে কোনোদিন লাঞ্ছিত হতে হবে, ভাবতে পারিনি। লজ্জায় ঘটনাটি কাউকে জানাতেও পারছিলাম না।’

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। আনন্দবাজার।