দর্পণ ডেস্ক : ১১ বছর পর অজি তারকার রেকর্ড ভাঙতে চলেছেন চিরশত্রু ইংলিশ পেসার জিমি অ্যান্ডারসন।
রেকর্ড গড়াই হয় ভাঙার জন্য। বহুল প্রচলিত কথাটির ব্যত্যয় যে একেবারে ঘটেনি এমনটা নয়। যেমন- স্যার ডন ব্রাডম্যানের কিছু রেকর্ড অমরত্ব পেয়ে গেছে, তার ওই রেকর্ড কেউ ভাঙতে পারবে- এটা বিশ্বাস করা খুব কঠিন। গ্লেন ম্যাকগ্রার মতে, জিমি অ্যান্ডারসন সেই পথে হাঁটছেন। ম্যাকগ্রার মতে, তার উইকেটের রেকর্ড অ্যান্ডারসন ভেঙে দিলে সেটা আর কেউ ভাঙতে পারবে না।
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রা ৫৬৩ উইকেট নিয়ে টেস্টে পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হিসেবে রেকর্ড বইয়ে নিজের নাম লিখিয়েছেন। অবসর নিয়েছেন ২০০৭ সালে। তার সময়ের পেসাররা অবসর নিয়ে নিয়েছেন। তলে তলে এগিয়ে গেছেন অ্যান্ডারসন।
জিমি ৫৫৭ উইকেট নিয়ে ম্যাকগ্রার ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন। এমন সময় ম্যাকগ্রাই প্রশংসা করলেন অ্যান্ডারসনের। তার রেকর্ড ভেঙে অ্যান্ডারসন ‘অমরত্ব’ পাচ্ছে বলে ঘোষণা করে দিলেন ম্যাকগ্রা। ইংলিশ পেসারকে কেউই ছাড়িয়ে যেতে পারবে না বলে মত তার।
ইংল্যান্ড-ভারতের মধ্যকার পাঁচ টেস্টের সিরিজের চতুর্থটি শুরু হবে বৃহস্পতিবার। ওই টেস্টে ছয় উইকেট নিলে ম্যাকগ্রার পাশে বসবে জিমি। আর সাত উইকেট নিলে হয়ে যাবেন রেকর্ডের একক অধিকারী। আগের তিন টেস্টে ১৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ম্যাচপ্রতি প্রায় ছয় উইকেটের কাছাকাছি। তাই চতুর্থ টেস্টেই কীর্তি গড়ে ফেলতে পারেন অ্যান্ডারসন।
তাকে উদ্দেশ করে ম্যাকগ্রা বলেন, ‘রেকর্ড গড়ে যেমন সম্মান অনুভব করেছিলাম জিমির জন্য তেমন অনুভব করছি। ওর জন্য শুভকামনা। আমি বিশ্বাস করি, একবার ও যখন আমাকে ছাড়িয়ে যাবে, তার পরে ওকে কেউ ধরতে পারবে না। টেস্ট ইতিহাসের সব পেস বোলারের মধ্যে আমার উইকেটই সবচেয়ে বেশি- এই রেকর্ড আমার জন্য গর্বের। তবে সব উচ্চতাই একসময় মানুষের পায়ের নিচে আসে।’
অ্যান্ডারসনকে অন্য কোনো পেসার কেন ছাড়াতে পারবেন না তার ব্যাখ্যায় ম্যাকগ্রা জানান, বর্তমান সময়ের পেসারদের মধ্যে অ্যান্ডারসনের পরে যিনি আছেন, সেই ব্রডের (৪২৭ উইকেট) সংগ্রহে ১৩০টি কম উইকেট আছে। ডেল স্টেইনের উইকেট ৪২১। আর কারাে ৪০০ উইকেটই নেই। ম্যাকগ্রার মতে, টি-২০ রমরমার যুগে টেস্টে দীর্ঘ সময় খেলার পেসারও পাওয়া যাবে না। ক্রিকেট এখন যে পথে এগোচ্ছে, তাতে কোনো বোলারই জিমিকে পেরিয়ে যাওয়ার মতো সুযোগ পাবে না।
অবসরের ব্যাপারে ম্যাকগ্রা জানান, ২০০৬ সালে অ্যাশেজের পরও আমার অবসরের ভাবনা ছিল না। তখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক হাজার উইকেট পূরণের লক্ষ্য আমার। কিন্তু হুট করে লক্ষ্যটা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয় মনে হয় আমার তাই অবসর নিয়ে ফেলি। জিমির ক্ষেত্রেও এমনটা ঘটতে পারে। তবে ৩৬ বছর বয়সেও জিমিকে ক্ষুধার্ত এবং শক্তিশালী মনে করেন ম্যাকগ্রা।
তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট খেলার সবচেয়ে কঠিন কাজ হচ্ছে ফাস্ট বোলার হওয়া। মানুষ জানে না, মাঠের বাইরে কত পরিশ্রম করতে হয় একজন পেসারকে।’