দর্পণ ডেস্ক :
ঢাকার যানজট নিরসনে কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজারসহ তিনটি চিকেন মার্কেট আগামী বছর স্থানান্তর করা হবে। এ লক্ষ্যে সাড়ে তিনশ’ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজধানীর মহাখালী, যাত্রাবাড়ী ও আমিনবাজারে তিনটি পাইকারি বাজার নির্মাণ প্রকল্প চলমান রয়েছে। যা আগামী বছরের জুনে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রোববার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকারি দলের সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ।
জবাবে মন্ত্রী জানান, উক্ত প্রকল্পের কাজ শেষ হলে কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজারসহ তিনটি চিকেন মার্কেট স্থানান্তরের মাধ্যমে ঢাকা শহরের যানজট নিরসন হবে এবং ন্যায্যমূল্যে কৃষিজাত পণ্য বাজারজাতকরণ সম্ভব হবে।
তিনি আরো জানান, ২৪ কোটি ৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা তেজগাঁও সাতরাস্তা মোড় থেকে উত্তরার হাউজ ব্লিডিং পর্যন্ত ১১টি ইউটার্ন নির্মাণ কাজ চলমান আছে। যা আগামী বছরের জুন মাসে সমাপ্ত হবে। এ ছাড়া ১৭৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে গাবতলী সিটি পল্লীতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ক্লিনারবাসীদের জন্য বহুতলা বিশিষ্ট আবাসিক ভবন নির্মাণ শীর্ষক একটি প্রকল্প চলমান রয়েছে, এটিও আগামী বছরের জুন মাসে শেষ হবে।
মন্ত্রী জানান, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী ও উন্নত নাগরিক সেনা প্রদানে সক্ষম প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে নানা পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে তৃণমুল পর্যায়ে জনগণের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে। বর্তমান সরকার সব সময় জনগণের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেয়। সুতরাং জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে শক্তিশালীকরণের উদ্যোগ সরকার অব্যাহত রাখবে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, গ্রামীণ হতদরিদ্র, অসহায়, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা মহিলাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে দারিদ্র্য বিমোচন কৌশল এবং সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাধিকারভূক্ত প্রকল্প হিসেবে ৮৫৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে এ প্রকল্পের মেয়াদকাল ২০১৯ পর্যন্ত।
জাসদের সংসদ সদস্য লুৎফা তাহেরের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ঢাকা ওয়াসা আগামী ২০২১ সালের মধ্যে রাজধানী ঢাকাতে ভূগর্ভস্থ পানির উৎসের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে ভূউপরিস্থ উৎসের ব্যবহার বাড়ানোর লক্ষ্যে বৃহৎ তিনটি পানি শোধনাগার নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। দেশের অধিকাংশ মানুষ এখনো ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীল। ভবিষ্যতে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরতা হ্রাস করতে সরকার ভূউপরিস্থ পানির উৎস ব্যবহারে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।