গ্রুপ পর্বেই পাচ গোল করে ফেলেছেন হ্যারি কেন। অথচ ব্রাজিল বিশ্বকাপে ছয় গোল নিয়ে গোল্ডেন বুট জিতেছিলেন কলম্বিয়ার রদ্রিগেজ। গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ড যে চমৎকার পারফরম্যান্স দেখিয়ে তা পানামা-তিউনেশিয়ার মতো দেশের বিপক্ষে। বেলজিয়ামের সামনে পড়েই হারতে হয়েছে ইংল্যান্ডকে। তাতে অবশ্য লাভ হয়েছে ব্রাজিল-ফ্রান্সকে টপকিয়ে ওপরে উঠতে হচ্ছে না তাদের। তবে কলম্বিয়া ছেড়ে কথা বলবে না। কারণ দলটা দক্ষিণ আমেরিকার। তাদের আলাদা ফুটবল কৌশল আছে। ব্রাজিলের সঙ্গে টিকে থাকতে চাইবে তারা।

আর মঙ্গলবার তাই কলম্বিয়ার শেষ ষোলোর ম্যাচেই প্রথমবার বড় পরীক্ষার ফেলবে ইংল্যান্ডকে। আর তাদের শক্তি দুইটি। সর্বশেষ ২০১৪ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়া। রাশিয়া বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে হেরেও গ্রুপ সেরা হয়ে শেষ ষোলোয় আসা। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের শেষ আটে ওঠার সর্বশেষ ঘটনা ১২ বছর আগে। ২০০৬ জার্মানি বিশ্বকাপে। এক যুগের অপেক্ষা এবার শেষ হবে কি-না, সেটা জানা যাবে স্পার্তাক স্টেডিয়ামের ম্যাচে শেষ বাঁশি বাজার পর।

পরিসংখ্যান অবশ্য ইংল্যান্ডের পক্ষে। দু’দলের পাঁচবারের দেখায় জয়ের মুখ দেখেনি কলম্বিয়া। তিনবার জিতেছে ইংল্যান্ড, দুটি ম্যাচ শেষ হয়েছে সমতায়। সর্বশেষ ১৯৯৮ সালের দেখায় ২-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল ইংলিশরা।

তবে হ্যারি কেন, দেলে আলি, জেসে লিনগার্ড ও রহিম স্টারলিংদের নিয়ে শক্ত দল ইংল্যান্ডের। ওদিকে দলের তারকা ফুটবলার হামেশ রদ্রিগেজের খেলা  নিয়ে নিশ্চিত আছে কলম্বিয়া। সেনেগালের বিপক্ষে ম্যাচে কাফ মাসলে চোট পেয়েছিলেন তিনি। আক্রমণভাগে মূল ভরসা রাদামেল ফ্যালকাওকে নিয়েও ভাবনার অবকাশ আছে। এখনও যে জ্বলে উঠতে পারেননি তিনি। আক্রমণভাগে ফ্যালকাও সঙ্গী হিসেবে পেতে পারেন হুয়ান কুয়াদ্রাদো, হুয়ান কুইন্তেরো ও লুইস মুরিয়েলকে।

তাই ইংল্যান্ড দারুণ ফর্মে থাকলেও কলম্বিয়াকে হালকাভাবে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সতর্ক থাকতে হবে কলম্বিয়াকেও। পা হড়কালে যে আর উঠে আসার কোনো সুযোগ নেই!