বাথরুম

সম্প্রতি ওই নারী ইতালি ভ্রমণে গিয়েছিলেন। সেখানে তার সঙ্গে কিছু চীনা নাগরিকের সাক্ষাৎ হয়

বিশ্বজুড়ে আশঙ্কাজনকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে নভেল করোনাভাইরাস (এনকভ-১৯)। এই পরিস্থিতিতে বেশ কিছুদিন আগেই “বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা” ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংক্রমণ এড়াতে সবাই যে যার মতো সতর্কতা অবলম্বন করছেন। তবে করোনাভাইরাস আতঙ্কে স্ত্রীকে তালাবন্দি করে রেখেছেন লিথুয়ানিয়ার এক ব্যক্তি।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ভিলনিয়াস শহরের বাসিন্দা ওই নারীকে দেশটির পুলিশ উদ্ধার করে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। ফোন করে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, স্বামী ও দুই সন্তান মিলে তাকে বাথরুমে বন্দি করে রেখেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ বাড়িটিতে গিয়ে জানতে পারে পারিবারিক কলহের কারণে নয় বরং করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার স্বামী।

দেশটির পুলিশের মুখপাত্র রামুনাস ম্যাতোনিস সাংবাদিকদের জানান, “করোনাভাইরাস সংক্রমিত হতে পারেন, স্বজনদের এমন কথা বলার পর তারা তাকে বাথরুমে বন্দি করে রাখেন।”

জানা গেছে, সম্প্রতি ওই নারী ইতালি ভ্রমণে গিয়েছিলেন। সেখানে তার সঙ্গে কিছু চীনা নাগরিকের সাক্ষাৎ হয়। ফিরে এসে তিনি স্বামীকে বিষয়টি জানান। কিন্তু স্ত্রীকে অভয় দেওয়ার বদলে ওই ব্যক্তি একজন চিকিৎসক ডাকেন। চিকিৎসক তাকে “আইসোলেশনে” রাখার পরামর্শ দেন। তারপরই তাকে বন্দি করে রাখা হয় বাথরুমে।

ওই নারীর স্বামীর দাবি, স্ত্রীর ক্ষতির জন্য নয়, তার মাধ্যমে যাতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

তবে, এ ঘটনায় ওই নারী লিখিত কোনো অভিযোগ জানাননি। তাই পুলিশ তাকে উদ্ধার করে পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরীক্ষায় তার শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েনি।