বিকাশ হাওলাদার, বিশেষ প্রতিনিধি, পটুয়াখালী : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কু-প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় নবম শ্রেণীর ছাত্রী তুলি (১৫) কে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করেছে এক বখাটে যুবক।
আজ শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে নয়টায় বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে ওই শিক্ষার্থীকে স্থানীয় বখাটে নাইম (১৮) ছুরিকাঘাত করে। ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় নাইমকে স্থানীয় জনতা আটক করে মহিপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।

তুলি ধুলাসার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী বলে জানা গেছে। তার নিজ বিদ্যালয় মহিপুর থানার ধুলাসার ইউনিয়নে স্কুলের সামনেই এ ঘটনা ঘটে। তুলি আক্তার ওই এলাকার মো.নিজাম হাওলাদারের মেয়ে ।
অভিযুক্ত বখাটের নাম নাঈম। সে এলাকায় মাদকসেবী হিসেবে পরিচিত। সে একই এলাকার শ্রমজীবী সলেমানের ছেলে। গত বছর এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করে সে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। প্রতিদিন স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে নাঈম ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করত।
প্রতিদিনের ন্যায় শনিবার সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে মেয়েটিকে কুপ্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় তার পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেয় নাঈম।

স্কুলের শিক্ষক সহ স্থানীয়রা তুলিকে উদ্ধার করে কলাপাড়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ছুরিটি বের করতে না পেরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।

এব্যাপারে কলাপাড়া হাসপাতালের চিকিৎসক জেএইচ খান লেনিন জানান, ছুরিটি পেটের গভীরে বিদ্ধ হয়। এতে ৫/৬ ইঞ্চি গভীর ক্ষত হয়েছে।

স্থানীয় প্রতক্ষ্যদর্শী ও আহতের স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে তুলিকে প্রেমের নিবেদনের নামে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল স্থানীয় বখাটে ধুলাসর এলাকার সোলায়মানের পুত্র নাইম। প্রতিদিনের ন্যায় আজ বিদ্যালয়ের যাওয়ার পথে বখাটে নাইম তুলির পথ আটকে কু-প্রস্তাব দেয়। এতে সে রাজী না হলে তাকে ছুরিকাঘাত করে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো.ইব্রাহিম মিয়া জানান, নাঈম একই স্কুলের ছাত্র ছিল। প্রেমঘটিত কারনে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি শুনেছেন। উপজেলা হাসপাতালের চিকিৎসক ডা.জুনায়েত হোসেন লেলিন জানান, শিক্ষার্থীর পেটে  ছুরিটির বাট ব্যতীত পুরোটাই ঢুকানো রয়েছে। তাকে সাধ্যমত চিকিৎসা দেয়া হয়েছে, তবে রক্ত থামানো সম্ভব হবে না বলে বরিশাল মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।

মহিপুর থানার ওসি মো.মিজানুর রহমান জানান, প্রেম প্রত্যাখান হওয়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে নাঈমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে