এখনও এই রোগের প্রতিষেধক বা নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ নেই। উপসর্গ দেখা দিলে তবে তা কমানোর চিকিৎসা করা হয়, আর অধিকাংশক্ষেত্রে এতেই ৯৭-৯৮ শতাংশ মানুষ সুস্থ হয়ে যান
করোনাভাইরাস মূলত সাধারণ সর্দি-কাশির ভাইরাস বহনকারী গ্রুপ। এই গ্রুপের ভাইরাস বছরদশেক আগেও এত ভয়াবহ ছিল না। তবে জিনগত মিউটেশনের ফলে ভাইরাসটির বৈশিষ্ট্য মারাত্মক হয়ে উঠেছে।
“২০১৯ এনসিওভি” নাম নিয়ে আসা এই ভাইরাস ইতোমধ্যেই ত্রাসের জন্ম দিয়েছে। এই ভাইরাস থেকে ছড়িয়ে পড়া রোগের নাম কোভিড-১৯। পৃথিবীজুড়ে এর সংক্রমণের খবরে আমরা আতঙ্কিত ও দিশেহারা।
সাধরাণ সর্দি-কাশি নাকি করোনাভাইরাস আক্রান্ত?
বিশেষজ্ঞরা জানান, জ্বর-সর্দি-হাঁচি-কাশি হলে-
১) ঘরে শুয়ে-বসে বিশ্রাম নেওয়া উচিৎ।
২) হালকা খাবার ও উষ্ণপানি গ্রহণ করতে হবে।
৩) প্রয়োজন মতো প্যারাসিটামল কিংবা কাশির ওষুধও খাওয়া যাবে।
৪) নরমাল স্যালাইন ড্রপ দিতে হবে নাকে।
৫) হাঁচি-কাশির সময় পরিষ্কার রুমাল ব্যবহার করতে হবে।
৬) শিশু, বয়ষ্ক, রুগ্ন ও গর্ভবতীদের থেকে অবশ্যই দূরে থাকা উচিৎ।
এসব মেনে ধীরেধীরে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার মাধ্যমেই যদি ভাইরাসকে কাবু করা যায়, তখন বুঝতে হবে এটি সাধারণ ফ্লু-য়ের সংক্রমণই ছিল।
কোভিড-১৯
বিশেষজ্ঞমত অনুযায়ী, করোনাভাইরাস যদি ১০০ জনকে সংক্রামিত করে তারমধ্যে ১৫ থেকে ২০জনের অবস্থা জটিল হয়। বাকি ৮০-৮৫ শতাংশ মানুষের সাধারণ ভাইরাস সংক্রমণের মতো উপসর্গ হয়। শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হলে তা নিজের নিয়মেই কমে যায়। তবে এরা অসুস্থ শরীরে রোগ ছড়াতে পারে। তবে তাতেও উদ্বেগের কিছু নেই।
প্রথমত, রোগ হলেও ৮০-৮৫ শতাংশ সম্ভাবনা যে আপনি প্রথম প্রথম অসুখটা টেরও পাবেন না। কাজেই রোগ হচ্ছে এমন কোনও জায়গায় যদি সফর না করে থাকেন, তা হলে নূন্যতম সচেতনতা মেনে চললেই হবে।
এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা কয়েকটি বিষয় মনে রাখার পরামর্শ দেন,
১) কারও যদি হার্ট-লাং-কিডনি-লিভারের ক্রনিক অসুখ না থাকে, বা কোনও অসুখ বা ওষুধের কারণে শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে না যায়।
২) বয়স খুব বেশি না হয়, তাহলে এত ভয়ের নেই। সেক্ষেত্রে রোগের উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর ৭২ ঘণ্টা অপেক্ষা করা যেতে পারে।
৩) তারপর যদি দেখা যায় উপসর্গ কমার বদলে বাড়ছে, প্রবল জ্বর উঠছে বা শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, রক্তচাপ কমে মাথা ঘুরছে, রোগী প্রলাপ বকতে শুরু করছেন, সেগুলোই আসলে বিপজ্জনক লক্ষণ।
প্রতিষেধক
এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাস সৃষ্ট কোভিড১৯ রোগের প্রতিষেধক বা নির্দিষ্ট ওষুধ কিছু নেই। উপসর্গ দেখা দিলে তবে তা কমানোর চিকিৎসা করা হয়। আর অধিকাংশক্ষেত্রে এতেই ৯৭-৯৮ শতাংশ মানুষ সুস্থ হয়ে যান।