সেই লক্ষ্যে নেতাকর্মীদের আন্দোলনে নামার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আজকে আমরা এখানে সমবেত হয়েছি তাদের একটি মাত্র লক্ষ্য, সেটি হচ্ছে এই দেশের ১৬ কোটি মানু্ষের যিনি আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক, যিনি স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে প্রতীক, যিনি গণতন্ত্রের প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য একটি গণঅভ্যুত্থান গড়ে তোলা।।
রোববার বিকেলে এক সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব এই ঘোষণা দেন। নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশ হয়। খোলা ট্রাকের ওপর দাঁড়িয়ে নেতারা বক্তব্য রাখেন।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘এখন আর অন্য কোনো শ্লোগান নয়। একটাই শ্লোগান দিতে হবে- ‘এই সরকার নিপাত যাক’, ‘এই সরকার নিপাত যাক’, ‘দেশনেত্রীর মুক্তি চাই, মুক্তি চাই।”
একাদশ নির্বাচন বাতিল করে নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নতুন নির্বাচন দেয়ার দাবিও পূনর্ব্যক্ত করেন ফখরুল।
বেলা ২টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন থানা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের মিছিল আসতে শুরু করে। কাকরাইল থেকে ফকিরাপুল পর্যন্ত দলটির নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। খালেদা জিয়ার ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে তার মুক্তির দাবিতে নেতা-কর্মীরা শ্লোগান দেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে দুর্নীতি মামলার রায়ে খালেদা জিয়া কারাগারে করছেন। গত ১ এপ্রিল থেকে অসুস্থ অবস্থায় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “এই সরকার জনগণের নির্বাচিত সরকার নয়, জনগণের কোনো ম্যান্ডেট তাদের প্রতি নেই। তারা সম্পূর্ণ অবৈধভাবে জোর করে দখলদারি হয়ে তারা ক্ষমতা দখল করে বসে আছে-সেটা জনগণের সমর্থনে নয়, তাদের সমর্থন দেশের মানুষের কাছে নয়। তাদের আনুগত্য ভিন্নখানে যারা তাদের ক্ষমতায় রেখেছে।”