দর্পণ ডেস্ক : পাবনার সুজানগরে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে পাবনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ব্যাপারে সুজানগর থানায় একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ মামলার প্রধান আসামি ভবানীপুর গ্রামের জয়নাল হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন ওরফে আনাইকে গ্রেফতার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একই এলাকার আরো দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়।

ধর্ষিতার বোন লাকী খাতুন অভিযোগ করেন, প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে তাদের প্রতিবেশী আব্দুল আজিজের ছেলে এবং সুজানগর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র সজিব হোসেন তার বোনকে বিয়ে করার কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে সজিবের বন্ধু একই এলাকার মাসুদ ও রকি সজিবের প্রেমিকাকে তার কাছ থেকে নিয়ে আনাইয়ের হাতে তুলে দেয়। এ সময় আনাই তাকে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাহেবুল হাসানের ছোট ভাই নায়েব আলীর বাড়িতে নিয়ে যায়। রাত ১০টার দিকে আনাই ও নায়েব আলীসহ ৬/৭ জন মিলে তাকে ধর্ষণের পর মারপিট দিয়ে আটক করে রাখে।

ঘটনা সম্পর্কে ধর্ষিতার ভগ্নীপতি সোহেল জানান, বিষয়টি আমরা জানার পর আনাই ও নায়েব আলীর কাছে গেলে তারা ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। অন্যথায় খারাপ মেয়ে হিসেবে তাকে থানায় দেওয়া হবে বলে ভয় দেখান। এতে তারা বাধ্য হয়ে ২০ হাজার টাকা দিয়ে তাকে আনাই ও নায়েব আলীর হাত থেকে মুক্ত করে প্রথমে বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করে।

সুজানগর থানার অফিসার ইনচার্জ শরিফুল আলম জানান, এ ব্যাপারে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি আনাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে।