প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অফিসার হিসাবে কর্মরত ভুক্তভোগী লিনা জানান, যৌতুকের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই জাকির শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন। তাদের ঘরে ১৪ বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। কিন্তু পুত্র সন্তান না হওয়ার কারণে প্রায়ই বেধড়ক মারধর, গালিগালাজসহ নির্যাতন করেন।
সর্বশেষ গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কলাবাগানের নর্থ রোডের বাসায় তার স্বামী বেধড়ক মারধর করে তাকে ফেলে রাখেন। পরবর্তীতে জাকির হোসেন আত্মগোপন করেন। এমতাবস্থায় পরের দিন তিনি ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। পরে সুস্থ হয়ে তিনি জাকিরের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
কলাবাগান থানার ওসি পরিতোষ চন্দ্র জানান, সরকারি তিতুমীর কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. জাকির হোসেনকে তার স্ত্রীর দায়ের করা নারী নির্যাতন মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।