দর্পণ ডেস্ক : হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন, শুভ মহালয়া আজ। আজ থেকে দুর্গাপূজার দিন গোনা শুরু। আজ থেকে ছয়দিন পরেই আসবে মহাসপ্তমী।

আশ্বিন মাসে কৃষ্ণপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের সূচনায় যে অমাবস্যা আসে তাই মহালয়া- পিতৃপূজা ও মাতৃপূজার সন্ধিলগ্ন। মহালয়া হচ্ছে পূজা বা উৎসবের আলয় বা আশ্রয়।

ত্রেতা যুগে ভগবান শ্রীরামচন্দ্র অকালে দেবীকে আরাধনা করেছিলেন লঙ্কা জয় করে সীতাকে উদ্ধারের জন্য। শ্রীরামচন্দ্র অকালে অসময়ে পূজা করেছিলেন বলে এই শরতের পূজাকে দেবীর অকাল-বোধন বলা হয়। আসল দুর্গাপূজা হলো বসন্তে, সেটাকে বাসন্তী পূজা বলা হয়।

আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে ষষ্ঠীপূজার মাধ্যমে দুর্গাপূজা শুরু হলেও মূলত আজ (সোমবার) থেকেই পূজার্থীরা দুর্গাপূজার আগমনধ্বনি শুনতে পাবেন। দুর্গাপূজার এই সূচনার দিনটি সারাদেশে বেশ আড়ম্বরের সঙ্গে উদযাপিত হবে।

এ উপলক্ষে আজ ভোর সাড়ে ৫টায় রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে মহালয়ার বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি। দেশের অন্যান্য মন্দিরেও এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে দেশের বিশিষ্ট শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করবেন।

এছাড়া সনাতন সমাজ কল্যাণ সংঘ ভোর ৫টায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণ, কৃষি খামার সড়কে মহালয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। দেবী দুর্গার আগমনী উপলক্ষে দিনটি উদযাপন করতে বনানী মাঠে দেবীবরণের আয়োজন করেছে গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা পরিষদ।

মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দূর্গা সমস্ত অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীক রূপে পূজিত। মহামায়া অসীম শক্তির উৎস। পুরাণ মতে, মহালয়ার দিনে, দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান। ব্রহ্মার বর অনুযায়ী কোনো মানুষ বা দেবতা কখনও মহিষাসুরকে হত্যা করতে পারত না।

ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব ত্রয়ী সম্মিলিতভাবে ‘মহামায়া’ এর রূপে অমোঘ নারীশক্তি সৃষ্টি করেন এবং দেবতাদের দশটি অস্ত্রে সুসজ্জিত সিংহবাহিনী দেবী দূর্গা নয় দিনব্যাপী যুদ্ধে মহিষাসুরকে পরাজিত ও হত্যা করেন।

মহালয়ার আর একটি দিক হচ্ছে এই তিথিতে যারা পিতৃ-মাতৃহীন তারা পূর্বপূরুষের স্মরণ করে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে অঞ্জলি দেন।