আম আদমি পার্টি নেতা নবীন জয়হিন্দ
দর্পণ ডেস্ক : গণধর্ষণ নিয়ে বেশ চাপে রয়েছে ভারতের হরিয়ানার মনোহরলাল খট্টরের সরকার রেওয়ারি । সেই ধর্ষণ নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন ওই রাজ্যের আপ নেতা মনোহরলাল খট্টর সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে।
আম আদমি পার্টি নেতা নবীন জয়হিন্দ সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে গিয়ে উল্টে বিতর্কে জড়িয়ে নিজের ও দলের বিপদ বাড়ালেন । এমন মন্তব্য করেছেন তিনি যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গেছে ভারতজুড়ে।
ধর্ষিতাকে হরিয়ানা সরকার ক্ষতিপূরণ বাবদ ২ লাখ টাকা দিয়েছে । তার পাল্টা বিবৃতি দিতে গিয়ে নবীন বলেছেন, কোনো এক বিজেপি নেতাকে ১০ জন মিলে গণধর্ষণ করলে তিনি ২০ লাখ টাকা দেবেন।
প্রসঙ্গ ছিল হরিয়ানার ছাত্রীকে গণধর্ষণ। আর তারপর হরিয়ানা রাজ্য সরকারের দুই লাখ টাকার চেক দেয়া এবং তরুণীর পরিবারের সেই চেক ফিরিয়ে দেয়া। তাই নিয়ে মনোহরলাল খট্টরের সরকারকে তীব্র আক্রমণ শুরু করেন নবীন জয়হিন্দ।
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে, ধর্ষকদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারছে না সরকার, মহিলাদের নিরাপত্তা নেই—ইত্যাদি একের পর এক তোপ দাগছিলেন তিনি। কিন্তু আচমকাই রাজনীতির চেনা ভাষণের বাইরে বেরিয়ে পড়েন নবীন জয়হিন্দ।
বিজেপি নেত্রীদের কেউ যদি ১০ জনকে দিয়ে ‘কুকর্মে’ রাজি হন, তা হলে আমি ২০ লাখ টাকা দিতে রাজি, নবীন জয়হিন্দ বলে বসলেন ।
হরিয়ানায় তারই সহকর্মী তথা আপ নেত্রী অতিশী মারলেনা বলেন, ‘নবীন যে প্রশ্নগুলি তুলেছেন এবং যা বলেছেন, সেগুলি ঠিক। কিন্তু যেভাবে সেটা উপস্থাপন করেছেন, তা ঠিক হয়নি।’ নবীনের এই মন্তব্যের পরই বিতর্ক শুরু হয়। পাল্টা আক্রমণে বিজেপি নবীনের রুচি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
তাঁর কথায়, ‘একটি মেয়ের সম্মানের মূল্য মাত্র ২ লক্ষ টাকা? মুখ্যমন্ত্রীর লজ্জা হওয়া উচিত। কোনও বিজেপি নেতার সঙ্গে ১০জন মিলে কুকর্ম করলে আমি তাদের ২০ লক্ষ টাকা দেব। সম্মানের কোনও মূল্য নেই নাকি?’ আপ নেতার অভিযোগ, কৌরবের রাজত্বে হরিয়ানায় রোজ ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। আর মুখ্যমন্ত্রী ধৃতরাষ্ট্রের মতো ঘুমিয়ে রয়েছেন। গত ১২ সেপ্টেম্বর রেওয়ারির এক সিবিএসই স্থানাধিকারী ছাত্রীর গণধর্ষণ হয়। ঘটনায় সেনায় কাজ করা দুজন এখনও পলাতক। একজন গ্রেফতার হয়েছে। আপের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জয়হিন্দ। তাঁর এই মন্তব্যের পর দল কী ব্যবস্থা নেয় সেটাই দেখার।
এক স্কুল ছাত্রী গত বুধবারই হরিয়ানার কোচিং সেন্টারে যাওয়ার পথে গণধর্ষণের শিকার হন। রাস্তা থেকে মাঠের মধ্যে টেনে নিয়ে তিন যুবক তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনাস্থলেই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন ওই ছাত্রী। ঘটনায় এক সেনা সদস্যও জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।
ওই ছাত্রীর পরিবারকে দুই লাখ টাকার একটি চেক দেয় খবর জানাজানি হলে হরিয়ানা সরকার। যদিও পরিবারের লোকজন মুখের উপর সেই চেক ফিরিয়ে দিয়ে ধর্ষকদের শাস্তির দাবি করেন।