খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় বিজিবি-গ্রামবাসী সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত চারজনসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছে বিজিবি। ৪০ বিজিবির হাবিলদার ইসহাক আলী বৃহস্পতিবার সকালে মাটিরাঙ্গায় থানায় মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৬০-৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে মাটিরাঙ্গায় বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এদিকে নিহতদের এবং শোকাহত ও ক্ষতিগ্রস্ত গাজীনগর গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
মাটিরাঙ্গা থানার ওসি মো. শামসুদ্দিন ভূঁইয়া মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মামলায় সরকারি কাজে বাধা, অস্ত্র ছিনতাই, ছিনতাইকৃত অস্ত্র দিয়ে অনিয়ন্ত্রিত গুলিবর্ষণ, হত্যা এবং জননিরাপত্তা বিনষ্ট ও জনসম্পদের ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ করা হয়েছে।
এদিকে গাজীনগর গ্রামের নিহতদের স্বজনরা মামলার খবর শুনে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মামলার কারণে নিহতদের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা হয়রানির আশঙ্কা করছেন। তারা ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান।
মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. শামসুল হক জানান, ঘটনার ভয়াবহতায় গাজীনগর গ্রামবাসী বিপন্ন এবং বেশি মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত। প্রশাসনের করা তিন সদস্যের তদন্ত প্রতিবেদনে নিশ্চয়ই প্রকৃত সত্য উন্মোচিত হবে।
এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার রেজাউল করিমকে প্রধান করে জেলা প্রশাসনের করা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আজ শুক্রবার প্রকাশের কথা রয়েছে।
এদিকে আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী খাগড়াছড়িতে পুলিশের অফিসার্স মেস উদ্বোধনে এসে বলেছেন, মাটিরাঙ্গায় সংঘটিত ঘটনায় যে পক্ষই মামলা করুক না কেন, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের গ্রেপ্তার ও দায়ীদের বিচার করা হবে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষও চাইলে মামলা করতে পারে বলে জানান তিনি।
গত মঙ্গলবার মাটিরাঙ্গা উপজেলার গাজীনগর এলাকায় গাছ পরিবহনে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিজিবি-গ্রামবাসী সংঘর্ষ ঘটে। এতে এক বিজিবি সদস্য ও চার গ্রামবাসী নিহত হন। এর মধ্যে তিনজন একই পরিবারের সদস্য।