দর্পণ ডেস্ক : পটুয়াখালীতে এক গৃহবধূ ও নবম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগে তিন ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (২২অক্টোবর) দুপুরে ও রাতে পটুয়াখালী সদও উপজেলার জৈনকাঠি ইউনিয়নের হেতালিয়া বাঁধঘাট এলাকা ও কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের রজপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে হিরন আকন হিরু(২৭), মশিউর গাজী(২২) ও আল মাহমুদ রাব্বি (১৯)। এ বিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানা ও কলাপাড়া
থানায় পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে।
পটুয়াখালী গোয়েন্দা পুলিশের সাব-ইন্সেপেক্টর জাফরুল হাসান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন হেতালিয়া বাঁধঘাট এলাকায় জৈনকাঠী এলাকার একটি মেয়েকে জোর পূর্বক নিয়ে আসা হয়েছে। এমন খবরের সূত্র ধরে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে তারা ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় হেতালিয়া বাঁধঘাট এলাকার বশির গাজীর বাড়ি থেকে পটুয়াখালী সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীতে পড়ূয়া এক কিশোরীকে উদ্ধার করে তারা কিশোরীর বাড়ী সদর উপজেলার চর জৈনকাঠী এলাকায় বলে নিশ্চিত করে গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় ধর্ষনের
অভিযোগে ওই ঘরের ভেতর থেকে ধর্ষক হিরন আকন হিরু ও মশিউর গাজীকে আটক করে
তারা।
পটুয়াখালী ডিবি পুলিশের ওসি খন্দকার জাকির হোসেন জানান, উদ্ধার হওয়া কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে পটুয়াখালী থানায় একটি ধর্ষনের মামলা দায়ের করেছেন। ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কিশোরীকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে অন্য কেউ জড়িত কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
অপরদিকে গত ১৪ অক্টোবর রাতে পৌর এলাকার মো. আলামিন নামে এক ব্যাক্তির স্ত্রীকে তার বাড়ীতে একা পেয়ে লম্পট রাব্বি ধর্ষন করে । এ ঘটনায় ২২ অক্টোবর সন্ধ্যায় কলাপাড়া থানায় ধর্ষিতার স্বামী আলামিন বাদী হয়ে একটি
মামলা দায়ের করেন। পরে রাত ৮টার দিকে পুলিশ ধর্ষক রাব্বিকে আটক করে।
রাব্বি আবুল কালাম মহরীর ছেলে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ ব্যাপারে কলাপাড়া থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক বিপ্লব মিস্ত্রি জানান, ফেসবুকে আল মাহমুদ রাব্বির সাথে আলামিনের স্ত্রীর পরিচয় হয়। পরে রাব্বি রহমতপুর এলাকায় তার বাড়ীতে গিয়ে তাকে একা পেয়ে ধর্ষন করে।