সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২৫ জুন খুলে দেওয়া হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প পদ্মাসেতু। এতে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হচ্ছে এ অঞ্চলের ২১টি জেলা। সেতুর দ্বার উন্মুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ অঞ্চলের শিল্প-বাণিজ্যের প্রসারের পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থায় আসবে আমূল পরিবর্তন।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগের অন্যতম রুট বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুট। ফেরি স্বল্পতাসহ নানা জটিলতায়, দীর্ঘদিন ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হয়েছে এ রুট ব্যবহারকারীদের। তবে এবার পদ্মাসেতু চালুর সঙ্গে সঙ্গে মাদারীপুর থেকে সহজেই বাসে ঢাকায় যেতে পারবে এ অঞ্চলের যাত্রীরা। যা পদ্মাসেতুকে ঘিরে যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক নতুন অধ্যায় যুক্ত করতে যাচ্ছে।
মাদারীপুর জেলা বাস মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, পদ্মাসেতু চালু উপলক্ষে মাদারীপুর-ঢাকা রুটে এ সমিতির ২২টি বাসের সঙ্গে আরো ২৫টি নতুন বাস সংযুক্ত করা হবে। মাদারীপুরের সার্বিক পরিবহনের ৫৭টি গাড়ির সঙ্গে যুক্ত হবে নতুন ২০টি নন-এসি চেয়ার কোচ ও ৫টি এসি বাস। এতে বিনিয়োগ হবে প্রায় ১০ কোটি। এছাড়া চন্দ্রা পরিবহন, সোনালী পরিবহনের মালিকপক্ষও নতুন বাস সংযোজনের কথা ভাবছে।
সরেজমিনে মাদারীপুর পুরান বাসস্টান্ড এলাকা ও সার্বিক পরিবহনের বাস ডিপোতে দেখা গেছে, শ্রমিকদের দম ফেলার নেই সময়। বেশ কয়েকটি নতুন বাসের কাজ শেষ হয়েছে। আরো নতুন বাস তৈরির কাজ চলছে।
মাদারীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মমসাদ-উজ্জামান-মিমুন বলেন, আমাদের সব কাজ ঢাকামুখী। আমাদের প্রতিনিয়ত এ রুটেই যাতায়াত করতে হয়। পদ্মাসেতু চালু হলে পরিবহন যোগাযোগে নতুন মাত্রা যোগ হবে। আমাদের প্রত্যাশা দেশের ভালো ভালো কোম্পানির বাস এ রুটে আসুক এবং স্থানীয় বাস কোম্পানিগুলোও নতুন নতুন সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন বাস চালু করুক।
মাদারীপুর জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান হাওলাদার বলেন, পদ্মাসেতু চালুর ফলে এ অঞ্চলে পরিবহন ব্যবসার প্রসার ঘটবে। সার্বিক, সোনালী ও চন্দ্রা পরিবহনের বাইরে আমরা জেলা বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ২০টি নতুন গাড়ি ঢাকামুখী করব। আমাদের পক্ষ থেকে যাত্রীদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, নতুন নতুন গাড়ি এলে যাত্রীসেবা বাড়বে। এ উদ্যোগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।