অনলাইন ডেস্ক : বরাবরই অসাধারণ তিনি। তাঁর অভিনয়দক্ষতা নিয়ে কারও কোনো প্রশ্ন নেই। যেকোনো চরিত্রে, যেকোনো অবয়বে নিজেকে নিখুঁত করার এক অতিমানবীয় ক্ষমতা আছে তাঁর। তিনি পরেশ রাওয়াল। বলিউডের এক অপরিহার্য অভিনেতার নাম।
পরেশ রাওয়ালের সর্বসাম্প্রতিক ছবি ‘সঞ্জু’তে তাঁর অভিনয় দর্শক-সমালোচকদের দারুণ প্রশংসা কুড়িয়েছে। ‘সঞ্জু’তে তিনি সঞ্জয় দত্তের বাবা সুনীল দত্তের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।
সিনিয়র দত্ত বরাবরই পরেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন।
তাঁর প্রসঙ্গে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে পরেশ বলেন একটি চিঠির কথা। যা তিনি পেয়েছিলেন সুনীল দত্তের কাছ থেকে ২৫ মে, ২০০৫ এ। এর ৫ দিন পর অর্থাৎ ৩০ মে ছিল পরেশ রাওয়ালের জন্মদিন। আর সে উপলক্ষেই চিঠিটি পাঠিয়েছিলেন উত্তর-পশ্চিম মুম্বাইয়ের পাঁচবার নির্বাচিত সাংসদ, যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী ও প্রয়াত ভেটেরান অভিনেতা সুনীল দত্ত।
চিঠিটি পেয়ে আপ্লুত হয়েছিলেন পরেশ। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, ওই দিনই পরলোকগমন করেন সুনীল দত্ত।
সম্প্রতি সেই চিঠিটি সবার সাথে শেয়ার করেন পরেশ রাওয়াল। চিঠিটির লেটারহেডে সুনীল দত্তের নাম, নিচে তাঁর স্বাক্ষর। তবে সেই চিঠিটির কথা একেবারেই ভুলে গিয়েছিলেন এই শক্তিমান অভিনেতা।
কিভাবে পেলেন? এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি ভুলে গিয়েছিলোম চিঠিটির কথা। ২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারি আমি যাচ্ছিলাম রাজকুমার হিরানির সাথে দেখা করতে। ‘সঞ্জু’ ছবিতে আমার চরিত্রটি (সঞ্জয়ের পিতা সুনীল দত্তের চরিত্র) নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য। সে সময় আমি আমার স্ত্রী স্বরূপ সম্পাতকে বলি ড্রয়ারে রাখা কিছু কাগজপত্র বের করে দিতে। সে সময়ই তিনি অন্যান্য কাগজপত্রের মাঝে চিঠিটি খুঁজে পান।
ওই চিঠি পাওয়াটা আমার কাছে একটা অন্যরকম লক্ষণ ছিল। আমি তখনই সিদ্ধান্ত নিই, আমি চরিত্রটি করব।
যদিও বিষয়টি কাকতালীয় ছিল, তবুও ওটা একটা সংকেত ছিল বলেই আমি মনে করি। যাই হোক, এর পর তো আপনারা সব জানেন।