দর্পণ ডেস্ক :
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের আসন্ন বার্ষিক সমাবেশকালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল তা আর হচ্ছে না। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৈঠকটি বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে। পাকিস্তান সীমান্তে বিএসএফ সদস্যকে হত্যা ও কাশ্মীরের তিন পুলিশকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিলো ভারত। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রস্তাবে সাড়া দেয়ার একদিন পরই তা বাতিল করে দিয়েছে দেশটি। ভারতের এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ভারতের সিদ্ধান্তকে তিনি উগ্র ও হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেছেন। শনিবার টুইটারে তিনি এ মন্তব্য করে টুইট করেন। তিনি বলেন, শান্তি আলোচনা শুরুর পথে ভারতের এ ধরনের উগ্র আচরণ আমাকে হতাশ করেছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও ভারতের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, ভারত একটি সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করলো। দুই দেশের সম্পর্কে নতুন অধ্যায় সূচনার একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল যা ভারত গ্রহণ করেনি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেছিলেন, নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের আসন্ন বার্ষিক বৈঠকের অবকাশে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির মধ্যে বৈঠক হবে। ইমরান খানের চিঠি পাওয়ার পরেই বৈঠকের ঘোষণা দিয়েছিল ভারত। কিন্তু সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, শান্তি আলোচনার পেছনে থাকা পাকিস্তানের আসল উদ্দেশ্য উন্মোচিত হয়েছে। নতুন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সত্যিকারের চেহারা পৃথিবী দেখতে পেয়েছে।
ভারত দীর্ঘদিন ধরেই কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের অস্ত্র ও আর্থিক মদত দেয়ায় পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করে আসছে। পাকিস্তান সম্প্রতি বুরহান ওয়ানির ছবিযুক্ত ডাকটিকিট চালু করেছে। বুরহান ওয়ানি ছিল একজন কাশ্মীরি যোদ্ধা নেতা যাকে ২০১৬ সালের জুলাইয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী হত্যা করে। সে সময় এ নিয়ে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল।