কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ার মিরপুর থেকে গোপালগঞ্জে ট্রেনে যাওয়ার জন্য একটি ট্রেন চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি লিখেছে দ্বিতীয় শ্রেণির এক স্কুল ছাত্র। ঐ স্কুল ছাত্রের নাম তোয়াশ জোয়ার্দ্ধার। সে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের মহাম্মদ আলী জোয়ার্দ্দারের ছেলে এবং আমরা নতুন শিক্ষা নিকেতনের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।
আজ শনিবার (০৬ জুলাই) ঐ স্কুল ছাত্রের পিতা মহাম্মদ আলী জোয়ার্দ্দার প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দ্বিতীয় শ্রেণির ঐ স্কুল ছাত্র তার খোলা চিঠিতে লিখেছে “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পত্রের প্রথমে আমার সালাম নিবেন। আশাকরি আপনি আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।”
মাননীয় প্রধানমন্ত্রি, আমাদের প্রিয় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবুতরকে খুবই ভালো বাসতেন। আমিও কবুতরকে খুবই ভালোবাসি। আমি গত ২২ জানুয়ারী ২০১৯ তারিখে আমার বাবা, মা, বড়ভাই, চাচা ও চাচীসহ ৬জন মিলে পবিত্র ওমরাহ হজ্জ পালন করতে মক্কা ও মদিনাতে গিয়েছিলাম। মদিনাতে আমি আমার বড় ভাই কবুতরকে গম খেতে দিয়েছি। সে কারনে আপনার কাছে আমার আকুল আবেদন আমাদের মহানবী ও বঙ্গবন্ধুসহ সকলের প্রিয় কবুতর এক্সপ্রেস নামে ১টি আন্তঃনগর ট্রেন গোপালগঞ্জ থেকে ঈশ্বরদী গামী দ্রুত চালু করবেন। যাতে করে আমি ও আমার পরিবার সকলে মিলে মিরপুর ষ্ট্রেশন থেকে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানির ধনগ্রামে নানুর বাড়ী যেতে পারি। আপনি আমার নানুরমত প্লিজ দয়া করে আমার অনুরোধটি রাখবেন। আমি আমরা নতুন শিক্ষা নিকেতনের ২য় শ্রেণির ছাত্র। আমার রোল নংঃ ০১।”
ঐ স্কুল ছাত্রের পিতা মহাম্মদ আলী জোয়ার্দ্দার জানান, “ছোট বেলা থেকে সে বঙ্গবন্ধুর ভাষন শুনে। ০৭ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা পরিষদের অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ এর ভাষণ দেয় তোয়াশ। এছাড়া ২০১৮ সালে মহান বিজয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানেও বঙ্গবন্ধুর ভাষন দেয় সে।”
তিনি আরো জানান, তোয়াশের নানার বাড়ী গোপালগঞ্জে। তার খুব ইচ্ছা ট্রেনে করে গোপালগঞ্জে তার নানার বাড়ী যাবে। তাই সে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাছে একটি খোলা চিঠি লিখেছে। চিঠিটি গত ০৪ জুলাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বরাবর পাঠানো হয়েছে।