ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জল্পনা জিইয়ে রাখলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বললেন, ‘এই বিষয়টি খারিজ করার আমি কে?’ পাশাপাশি তিনি বললেন, ‘আগামী লোকসভা নির্বাচনে বহুমুখী ভোট হবে- এমন ৭৫ আসনে এক জোট হয়ে লড়লেই নরেন্দ্র মোদির আর ক্ষমতায় ফেরা হবে না।’
সম্প্রতি ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে মমতা বলেন, ‘শুধু বুঝি, আমি একজন পোড়খাওয়া রাজনীতিক। অনেক লড়াইয়ের পর এখন একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিক। ৭ বারের সাংসদ। পরপর দু’বার মুখ্যমন্ত্রী।’ আঞ্চলিক দলগুলির জোটে জোর দিয়ে তার বক্তব্য, ‘উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ আর মায়াবতী এক হলেই খেলা ঘুরে যাবে।’ একইসঙ্গে মমতার হিসেব, ২০১৪ সালে বিজেপি যত আসনে জিতেছে, ২০১৯-এ তা হবে না।
মমতার কাছে প্রশ্ন ছিল- তিনি কি দেশের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী? মমতার জবাব, ‘আমি অত্যন্ত সাধারণ মানুষ। নিজের কাজ নিয়ে খুশি। একটি বৃহৎ পরিবারের সদস্য হিসেবে সবাইকে সাহায্য করতে চাই। আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে দিন।’
পরবর্তী প্রশ্ন, কিন্তু, আপনি তো সম্ভাবনার কথা খারিজও করলেন না? এবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো কিছু খারিজ করে দেওয়ার আমি কে? আমি জানি, অনেক লড়াইয়ের পরে আমি একজন অভিজ্ঞ ও পোড়খাওয়া রাজনীতিক হয়ে উঠেছি। তাই, এমন কিছু বলব না যা অন্যদের অপছন্দ হবে।’
প্রশ্ন ছিল, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য কাজ করে চলেছেন। মমতার জবাব, ‘এটা ওঁর ব্যাপার। যদি তার দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, তাহলে কেন নয়? বিষয়টা জনগণের ওপরে নির্ভর করছে।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আরএসএসের কয়েকজনকে আমি শ্রদ্ধা করি। কিন্তু, যারা মানুষকে পিটিয়ে মারছে, মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে, তাদের সম্মান করি না। তারা সংখ্যালঘু ও হিন্দু দলিতদের ওপরেও অত্যাচার চালাচ্ছে।’
সম্প্রতি নাগপুরে আরএসএসের সদর দপ্তরে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির যাওয়া ও সেখানে ভাষণ দেওয়া সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর মত জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘এই ব্যাপারে আমাকে প্রশ্ন করবেন না। আমি সত্যিই বিরক্ত।’
২০১৯ কে সামনে রেখে বিরোধী জোট সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘বিরোধী জোটের ব্যাপারে আমি ভীষণ আশাবাদী। যেখানে কংগ্রেস শক্তিশালী, সেখানে তাদের লড়তে দেওয়া হবে। যেখানে আঞ্চলিক দলগুলি শক্তিশালী, তাদের সেখানে লড়া উচিত।’