দর্পণ ডেস্ক : ফরিদ আহমদ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নিউজিল্যান্ডের নাগরিক।যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সাথে সাক্ষাতের জন্য যে ২৭ জনকে বিশেষ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো তার মধ্যে ফরিদ আহমদের নাম ছিল। ওই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে তিনি অনন্য নজির স্থাপন করলেন। নিউজিল্যান্ডে এখন স্থায়ীভাবে বসবাস করেন ফরিদ আহমদ।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে তিনি নিজ দেশের বিস্তর প্রশংসা করেছেন। কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলা দগদগে স্মৃতি নিয়েই তিনি সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন। ওই হামলায় ফরিদ আহমদের স্ত্রীও নিহত হন। কিন্তু সেটি নিয়ে তিনি ব্যক্তিগত কোন ক্ষোভ বা অনুযোগ উপস্থাপন করা তো দূরের কথা, বরং ট্রাম্পকে ধন্যবাদ দিয়েছেন সে হামলার পর তার সহযোগিতামূলক মনোভাবের জন্য।
ফরিদ আহমদের এমন ভূমিকায় প্রসংশা করেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আরদান।বলেছেন, ফরিদ আহমেদ এমন একজন মানুষ, যিনি মানবতাকেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
মজার ব্যাপার হলো ফরিদ আহমেদও কিন্তু বাংলাদেশি। নিউজিল্যান্ড তার দেশ না হলেও তিনি চাননি যাতে তার বক্তব্যে কোনোভাবে দেশকে খাটো করা হয়। শ্বেতাঙ্গ খ্রিস্টান জঙ্গির হামলার কথা ভুলে তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথাই তুলে ধরেছেন। কারণ তিনি একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক।