অনলাইন ডেস্ক : বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী ডা. মনীষা চক্রবর্তীকে আওয়ামী লীগ মেয়রপ্রার্থীর পোলিং এজেন্টরা শারীরিক লাঞ্ছনা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার (৩০ জুলাই) সকাল পৌনে ১০টার দিকে অক্সফোর্ড মিশন হাইস্কুল কেন্দ্রে ভোট দিয়ে বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শনে যান ডা. মনীষা।

মনীষা সাংবাদিকদের বলেন, সোমবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে বরিশাল নগরের অক্সফোর্ড মিশন স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিয়ে বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শনে নামি। বরিশাল নগরের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়েই দেখি মই মার্কার সিল মারা ব্যালট পেপার ছেঁড়া। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আমার ওপর নৌকার ব্যাজ পরা পোলিং এজেন্টরা হামলা করেন।

এ সময় একটি কেন্দ্রে তার ওপর হামলা হয় বলে অভিযোগ করেন মই প্রতীকের এ প্রার্থী।

জেলা বাসদ সভাপতি ইমরুল হাকিম রুমন জানান, পৌনে ১০টার দিকে ডা. মনীষা চক্রবর্তীসহ সদর গার্লসকেন্দ্রে গেলে তিনি দেখেন ব্যালটে আওয়ামী লীগের কর্মীরা প্রকাশ্যে সিল মারছে। তাৎক্ষণিক রিটার্নিং অফিসারকে সংবাদ দেন তিনি।

এ সময় জালভোটের প্রতিবাদ করায় আওয়ামী লীগের কর্মীদের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। এর একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের দুই কর্মী মনীষাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১২৩ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১১২টিই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে পুলিশ। এর মধ্যে ৫৫টি ভোটকেন্দ্র অতিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সিটির ভোটের নিরাপত্তায় পুলিশ, এপিবিএন ও আনসারের ৩০টি মোবাইল টিম ও ১০টি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে রয়েছে।

এ ছাড়া র‌্যাবের ৩০টি টিম ও ১৫ প্লাটুন বিজিবি টহল দিচ্ছে। এর বাইরে ৪ প্লাটুন বিজিবি রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে সংরক্ষিত রয়েছে।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে সাত মেয়রপ্রার্থী রয়েছেন। এদের মধ্যে বশিরুল হক ঝুনু নামে এক স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে গেছেন। বাকি ছয় মেয়রপ্রার্থী মাঠে রয়েছেন। বরিশাল সিটিতে সাধারণ ৩০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩টিতে ও একটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

বাকি ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৯১ জন ও ৯টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ সিটিতে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৪২ হাজার ১৬৬, যার মধ্যে পুরুষ এক লাখ ২১ হাজার ৪৩৬ ও নারী ভোটার এক লাখ ২০ হাজার ৭৩০ জন।

তবে কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার প্রভাস কুমার মণ্ডল বলেন, তার কেন্দ্রে হামলার কোনো ঘটনাই ঘটেনি। তিনি (মনীষা) দিব্যি কেন্দ্রে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল সিটি করর্পোশেনের চতুর্থবারের এই নির্বাচনে ১২৩টি কেন্দ্রের ৭৫০টি কক্ষে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এরমধ্যে ৪টি ওয়ার্ডের ১১টি কেন্দ্রে ৭৮টি কক্ষে ইভিএম ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।

সূত্র : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম