অনলাইন ডেস্ক : বিয়ে না করেও প্রাপ্তবয়স্ক নারীপুরুষের একসঙ্গে থাকার অধিকার রয়েছে বলে এক পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। দেশটির কেরালা রাজ্যদের হাইকোর্টের দেওয়া এক বিবাহ বিচ্ছেদের রায়ের আপিলের শুনানিকালে এ পর্যাবেক্ষণ দেন আদালত।
নন্দকুমার নামের কেরালার এক তরুণ সুপ্রিম কোর্টে ওই আপিল করেন। প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ার কারণে ওই তরুণের সঙ্গে থুশারা নামের এক তরুণীর বিবাহ বিচ্ছেদের রায় দেন হাইকোর্ট।সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়ে, শীর্ষ আদালত কর্তৃক এবার লিভ-ইন-সম্পর্কের বিষয়টি স্বীকৃতি পেলো। এটি নারীর প্রতি সহিংসতা রক্ষার আইন-২০০৫-এ স্থান পেয়েছে।
ভারতের শিশু বিবাহ আইনে বলা হয়েছে, একজন নারী ১৮ বছর ও পুরুষ ২১ বছরের আগে বিয়ে পারবে না। কিন্তু আগামী ৩০ মে নন্দকুমারের বয়স ২১ বছর হবে। এ কারণে কেরালা হাইকোর্ট রায় দেয় নন্দকুমার ও থুশারার বিয়ে বৈধ হয়নি। রায়ে থুশারাকে আদালত তার মা-বাবার হেফাজতে থাকার আদেশ দেন।
কিন্তু সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি এ কে সিক্রি ও অশোক ভূষণের বেঞ্চ বলেন, বিয়ের সময় ২১ বছর বয়স হয়নি, স্রেফ এই কারণে নন্দকুমারের বিয়ে ‘বাতিল’ বলা যায় না।
বেঞ্চ আরও বলেন, নন্দকুমার ও থুসারা দুজনেই হিন্দু। ১৯৫৫-র হিন্দু বিবাহ আইনে এ ধরনের বিয়ে ভিত্তিহীন হতে পারে না এবং ওই আইনের ১২ ধারা অনুসারে বড়জোর এ বিয়ে বাতিলযোগ্য বিয়ে বলা যেতে পারে। কিন্তু এখানে মাথায় রাখতে হবে, তারা দুজনেই প্রাপ্তবয়স্ক। বিবাহের সম্পর্কে জড়ানোর বৈধতা না থাকলেও বিয়ে ছাড়াই একসঙ্গে থাকার অধিকার ওদের আছে।
থুসারাকে বাবার হেফাজতে রাখার যে রায় কেরালার হাইকোর্ট দিয়েছিল তা খারিজ করে দেন সুপ্রিম কোর্ট। এ প্রসঙ্গে আদালত বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে দিতে চাই যে থুসারা কার সঙ্গে থাকতে চায় সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা তার আছে।’

News Editor : Ganash Chanro Howlader. Office: 38-42/2 Distillery Road, 1st floor, Gandaria, Dhaka-1204.