দর্পণ ডেস্ক : বেসরকারি ইসলামি ধারার পিপলস ব্যাংকের দু’টি পরিচালক পদের মালিকানা পেতে যাচ্ছেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। এরই মধ্যে সাকিবের পাশাপাশি তার মা শিরিন আক্তারকে ব্যাংকটির পরিচালক পদে নিয়োগে অনাপত্তির (এনওসি) জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) পিপলস ব্যাংকের প্রধান উদ্যোক্তা এমএ কাশেম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। একইভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে এখনও ব্যাংকটি চূড়ান্তভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পায়নি। চূড়ান্ত লাইসেন্স পেলে এটি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
জানা গেছে, ব্যাংকটির মালিকানায় আসতে সাকিব আল হাসান ২৫ কোটি টাকারও বেশি মূলধন জোগান দিচ্ছেন। এর আগে ব্রোকারেজ হাউজ ও স্বর্ণ আমদানি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স পেয়েছেন সাকিব আল হাসান।
প্রসঙ্গত, উদ্যোক্তা হিসেবে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হতে হলে প্রয়োজন হয় সর্বনিম্ন ২ শতাংশ শেয়ার ধারণের। সেই হিসেবে পিপলস ব্যাংকের প্রতিটি পরিচালক পদের জন্য সর্বনিম্ন ১০ কোটি টাকা মূলধন জোগান দিতে হবে সাকিবকে।
এর আগে ২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পরিচালনা পর্ষদের সভায় বেঙ্গল কমার্শিয়াল, সিটিজেনস ও পিপলস নামে নতুন তিনটি ব্যাংকের নীতিগত অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক চলতি বছরের মার্চে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে। আর চূড়ান্ত লাইসেন্স পাওয়ার পর কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে সিটিজেনস ব্যাংক। কিন্তু লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) পাওয়ার পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও পিপলস ব্যাংক এখনও লাইসেন্স নিতে পারেনি।
প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংকের লাইসেন্সের জন্য আবেদনকারী এমএ কাশেম যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা। এছাড়া ব্যাংকটির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা।
রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় বিনিয়োগের মাধ্যমে ব্যবসায়ী হিসেবে হাতেখড়ি সাকিব আল হাসানের। বর্তমানে স্বর্ণ আমদানি ও বিপণন, শেয়ার বাজার, বিদ্যুৎকেন্দ্র, প্রসাধনী, ট্রাভেল এজেন্সি, হোটেল, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, কাঁকড়া ও কুঁচের খামারসহ বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ রয়েছে তার। দেশের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করেছেন তিনি। তবে সবকিছুকে ছাড়িয়ে বছর দুয়েক ধরে দেশের পুঁজি বাজারের বড় প্রভাবক হয়ে উঠেছেন সাকিব। বড় অঙ্কের অর্থ লগ্নি করেছেন তিনি। পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) শুভেচ্ছাদূত সাকিব আল হাসান চলতি বছরের মে মাসে একটি ব্রোকারেজ হাউজের অনুমোদন পেয়েছেন। দেশে বৈধভাবে স্বর্ণের বার ও স্বর্ণালংকার আমদানি এবং বিক্রির জন্য ‘বুরাক কমোডিটিজ এক্সচেঞ্জ কোম্পানি’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সও নিয়েছেন তিনি।

News Editor : Ganash Chanro Howlader. Office: 38-42/2 Distillery Road, 1st floor, Gandaria, Dhaka-1204.