অনলাইন ডেস্ক : আর কদিন বাদেই শুরু হচ্ছে মুসলিমদের পবিত্র রমজান মাস। মাসটি মূলত মুসলমানদের ইবাদতের মাস হিসেবে প্রসিদ্ধ। আত্মশুদ্ধিও অর্জন হয় এই সময়ে। মাসটিতে সুবেহ সাদিকের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত না খেয়ে থাকেন মুসলিমরা। পুরো এক মাস ধরে চলে এই সাধনা। দীর্ঘ এই সাধনা শুরুর আগে নিজের শরীরকে গুছিয়ে নেওয়াও তাই জরুরি।
রোজার আগে শরীরকে ঠিক করতে ছয়টি উপায় জানিয়েছে সৌদিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সৌদি গ্যাজেট। আসুন জেনে নিই উপায়গুলো-
কমখাবার খান, তবে স্বাস্থ্যকর
রমজান মাস শুরুর আগেই আমরা অনেকেই যা খুশি তাই খাওয়ার জন্য মানসিকভাবে তৈরি হই। কিন্তু এই চিন্তাধারা একদমই ভালো না। কারণ এমন স্বভাবের কারণে ক্ষুধা বেড়ে যায়। এর ফলে রোজা রাখা খুব কষ্টের হয়। শরীরকে কম খাবার গ্রহণের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। তাই এখন থেকেই প্রতিদিনের খাবার গ্রহণের পরিমাণ একটু করে কমানো শুরু করবেন না কেন? তবে শুধু পরিমাণ কমানোই যথেষ্ট না পাশাপাশি খাবারের গুণের দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। এড়িয়ে চলতে হবে ভারি খাবার, লবণ এবং চিনি।
স্ন্যাকস খাওয়া বন্ধ করুন
আজ থেকেই দিনে তিনবার খাবার গ্রহণে অভ্যস্ত হোন। সকালে নাস্তা, দুপুরের খাবার ও রাতের খাবারের মাঝে স্ন্যাকস এড়িয়ে চলুন। কারণ রমজানের সময় শুধুমাত্র সেহরি এবং ইফতার করতে হয়। এতে শরীরও অভ্যস্ত হবে, রোজা রাখাও সহজ হবে।
ক্যাফেইন বাদ দিন
যদি কেউ কফি বা চা প্রেমিক হন, তাহলে রোজার শুরুর দিকে এগুলো পান বন্ধ মাথা ব্যথার কারণ হয়। তাই এখন থেকেই ক্যাফেইন গ্রহণ কমিয়ে দেওয়া শুরু করুন। এই পদ্ধতি মেনে চললে আপনি রোজার সময় সহজেই চা-কফি এড়িয়ে চলতে পারবেন।
ধূমপান ভুলে যান
বছরের যে কোনো দিনে ধূমপান ত্যাগ করতে পারেন। কিন্তু রমজান মাসের কথা একটু আলাদা। কারণ এই মাসটিতে ধূমপান ত্যাগীদের বিরক্তি, রাগ, ক্লান্ত এবং অধৈর্য হওয়ার মতো কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। তাই রোজার কয়েক দিন আগে থেকেই এগুলো এড়িয়ে চলতে সিগারেট বন্ধ করুন।
ঘুমের তালিকা তৈরি করুন
রমজান মাসে যেহেতু আমাদের জীবনধারা এবং ঘুমের সময় পাল্টে যায়, তাই আগে থেকেই ঘুমোনোর জন্য একটি তালিকা তৈরি করে নিলে রোজার দিন মানিয়ে নিলে খুব সহজ হবে। রোজার আগের কয়েকটা দিন আগে আগে ঘুমাতে যান। সেহেরির সময় উঠুন। সকালে কাজ শুরু করে ইফতারের ঠিক আগ মুহূর্তে ঘরে ফিরে আসুন।
আপনি ঘুমানোর যে তালিকায় অনুসরণ করেন না কেন, আজ থেকে তা পাল্টে ফেলুন।
চিকিৎসক দেখিয়ে আসুন
ডায়বেটিক, হাই ব্লাড প্রেসার অথবা সামন্য গ্যাস্ট্রিক নিয়ে সতর্ক হতে হবে এখনই। তাই প্রয়োজন চিকিৎসক দেখানোর। আর এই মাসটিতে যেহেতু দিনে না খেয়ে থাকতে হয়, তাই ওষুধ গ্রহণের সময় পরিবর্তনে প্রয়োজন চিকিৎসকের পরামর্শ।