অনলাইন ডেস্ক : বুধবার সকাল থেকে রাজধানীর রাস্তায় বাস নেই বললেই চলে। গাবতলী, মিরপুর, টেকনিক্যাল মোড়, কল্যাণপুর, শ্যামলী, কলেজগেট, আড়ং মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে কর্মস্থলগামী মানুষজনকে রাস্তার পাশে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। এমনকি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা, অ্যাপসভিত্তিক পরিবহন সেবা পাঠাও, উবারও পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে দূরপাল্লার বাস চলতে দেখা গেছে।

সকাল থেকে কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, মহাখালীসহ ওই এলাকার রাস্তায় অসংখ্য মানুষকে বাসের জন্য অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। দুয়েকটা বাস চললেই যাত্রীর চাপে গেটবন্ধ করে দিয়েছে হেলপার। আবার কোনো কোনো বাসে ঝুঁকি নিয়ে হুড়মুড়িয়ে যাত্রী উঠতে দেখা গেছে। অনেকে বাসে উঠতে না পেরে হতাশ হয়ে তাকিয়ে থাকছেন, পরবর্তী বাস কখন আসবে।

বুধবার সকালে বাস না পেয়ে অনেক মানুষ হেঁটে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। রাজধানীর টেকনিক্যাল মোড় থেকে তোলা। ছবি: সমকাল
সোহেল খন্দকার সকাল ৮টা থেকে টেকনিক্যাল মোড়ে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বাস, সিএনজি, রিকশা কিছুই না পেয়ে তিনি হাঁটতে শুরু করেন। মতিঝিলে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা সোহেল  বলেন, বোঝা যাচ্ছে, ইচ্ছা করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির জন্য বাস নামতে দেওয়া হয়নি। রাজধানীর সড়কে যে কোনো দুর্ঘটনার পরই এমনটা দেখা যায়। কোনো বিচার হয় না। এমনকি বিচার চাইতে গেলেও দুর্ভোগ।

টেকনিক্যাল মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য বলেন, বাসের সংখ্যা খু্বই কম। এরকমটা সাধারণত দেখা যায় না।

শাহবাগ এলাকায়ও অন্যান্য দিনের তুলনায় কম বাস চলতে দেখা গেছে। শাহবাগ জোনের ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনার শাহেদ আহমেদ জানান, রাস্তায় অন্যদিনের মতো গণপরিবহন নেই।

রোববার দুপুরে বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের একটি বেপরোয়া বাসের চাপায় শহীদ রমিজউদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী আবদুল করিম ওরফে রাজীব (১৭) ও দিয়া খানম ওরফে মিম (১৬) নিহত হয়। ঘটনার পর নৌমন্ত্রী শাজাহান খান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাসতে হাসতে বিষয়টিকে নিয়ে বিদ্রুপাত্মক মন্তব্য করেন। এর প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তিন দিন ধরে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে অবস্থান নেয়। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পুরো ঢাকা কার্যত স্থবির হয়ে পড়ে। মঙ্গলবারও ফার্মগেট, মোহাম্মদপুর, টঙ্গিসহ বিভিন্ন স্থানে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা।