মানবদেহের প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজের চাহিদা মেটায় নানা ধরনের ফল। এ কারণে প্রতিদিন অন্তত একটা করে টাটকা ফল খাওয়া উচিত। এতে শরীর স্বাস্থ্য যেমন ভালো থাকে, তেমন শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে।
কিউই বিদেশি জাতের ফল হলেও আজকাল বিভিন্ন বাজার, সুপারশপে এ ফলটি পাওয়া যায। সুস্বাদু স্বাদের এ ফলে পুষ্টিগুণ অপরিসীম। স্বাদে ভরপুর এ ফলের স্বাস্থ্য উপকারিতাও অনেক। এ ফলটি খেলে যেসব স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়-
১. ভিটামিন সি, পটাসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ কিউই ফল হৃৎপিন্ডের জন্য খুবই উপকারী। এটি খেলে রক্তে ফ্যাটের পরিমাণ কমে যায়। ফলে ব্লকও প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।
২. কিউই ফলে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কানাডিয়ান জার্নাল অফ ফিজিওলজি অ্যান্ড ফার্মাকোলজিতে প্রকাশিত এক গবেষণা থেকে জানা যায়, কিউই ফল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করে এবং ঠান্ডা বা ফ্লু-এর মতো অসুস্থতার সম্ভাবনা হ্রাস করে।
৩. এ ফলে থাকা ফাইবার হজমে সহায়তা করে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, কিউই দ্বিগুণ পরিমাণ হজমশক্তি বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং হজমের সমস্যাগুলি ঠিক করে তোলে।
৪. কিউই ফলে থাকা ভিটামিন এ, ফাইটোকেমিক্যাল চোখের ছানি এবং বয়সজনিত কারণে চোখের বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
৫. এ ফলে থাকা ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, বি-৬, বি-১২, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম শরীরে রক্ত সঞ্চালনকে ঠিক রাখে। সেই সঙ্গে হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
৬. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কিউই ফল বেশ উপকারী। ২০১৪ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ৩টি কিউই ফল খেলে এতে থাকা বায়োঅ্যাক্টিভ পদার্থ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।
৭. এশিয়া প্যাসিফিক জার্নাল অফ ক্লিনিকাল নিউট্রিশনে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, কিউই ফলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অনিদ্রা সারাতে ভালো কাজ করে। এ কারণে যাদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত এ ফলটি খেতে পারেন।