রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভিয়েতনাম

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থেকে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভিয়েতনাম। 

সংসদ ভবনে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে এ প্রতিশ্রুতি দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন।  

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম দেশই যুদ্ধ সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। এসময় স্পিকার বাংলাদেশের উন্নয়ন বিশেষ করে নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন, নারী শিক্ষার প্রসার, দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন দেখার জন্য রাষ্ট্রদূতকে ঢাকার বাইরে গিয়ে দেখার অনুরোধ করেন। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন বলেন, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি এখন দৃশ্যমান। রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে ভিয়েতনাম বাংলাদেশের পাশে থাকবে। এ সময় তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যকার সম্পর্ক এক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। ফাম ভিয়েত চিয়েন আরও বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। 

এ সময় তিনি বাংলাদেশের ধারাবাহিক জিডিপি ৮ শতাংশ অর্জনের প্রশংসা করেন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অর্থনৈতিক উন্নয়নেও বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মিল রয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ২০৪৫ সালের মধ্যে ভিয়েতনামও উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে।

স্পিকার শিরীন শারমিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী “মুজিববর্ষ-২০২০” উদযাপন উপলক্ষে ভিয়েতনামের স্পিকারকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানাবেন বলে জানান। এ সময় তিনি ২০১৭ সালে ভিয়েতনাম সফরের স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যকার বর্তমান সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। এই সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও গভীর হবে। দুই দেশের সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সফরের মাধ্যমে বর্তমান সম্পর্ক আরও জোরদার করা সম্ভব। 

বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব