সিএএ

শুধু ব্যানার টাঙানোই নয়, সিএএ বিরোধী বিক্ষোভে যে সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে সেই টাকা এদের থেকে আদায় করা হবে বলেও জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন

ভারতের লক্ষ্ণৌয়ের রাস্তার মোড়ে মোড়ে বিশাল বিশাল ব্যানার। তাতে নাম ও ঠিকানাসহ ৫৩জনের ছবি। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসনের মতে, এরা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-বিরোধী প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিলেন। তাই তাদের ছবি জনসমক্ষে টাঙানো হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এখবর নিশ্চিত করেছে দেশটির সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার।

এদিকে, এই ঘটনায় সমালোচনায় সরব হয়েছেন ভারতের সমাজকর্মী থেকে রাজনীতিবিদ সবাই। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী তীব্র সমালোচনা করেছেন যোগী আদিত্যনাথ সরকারের। মামলা গড়িয়েছে আদালতেও। সরকারকে ভর্ৎসনার পাশাপাশি এই ঘটনাকে “অত্যন্ত অন্যায়” বলে মন্তব্য করেছেন এলাহাবাদ হাইকোর্ট।

গত বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) লক্ষ্ণৌ শহরের বড় বড় রাস্তার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় চোখে পড়ে প্রচুর ব্যানার। প্রায় পুরোশহর ছেয়ে গিয়েছে ওইসভ ব্যানারে।উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের একটি সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশেই ওই ব্যানারগুলো পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে টাঙানো হয়েছে। 

শুধু ব্যানার টাঙানোই নয়, সিএএ বিরোধী প্রতিবাদ-বিক্ষোভে যে সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে, সেই টাকা এদের থেকে আদায় করা হবে বলে জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। যোগী মন্ত্রিসভার সদস্য মহসিন রাজা বলেছেন, ‘‘সিএএ-বিরোধী প্রতিবাদের নামে এরা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করেছেন। তারা রাজ্যের মানুষের ক্ষতি করেছেন এবং সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করেছেন। এখন সেই ক্ষতি তাদের কাছ থেকে আদায় করা হবে।’’

প্রকাশ্যে ছবি দিয়ে ব্যানার ঝুলিয়ে প্রতিবাদীদের সঙ্গে ফৌজদারি অপরাধীর মতো আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে সরব অনেকেই। সমাজকর্মী দীপক কবীর বলেন, এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক। এর কোনও দরকারই ছিল না। সরকার ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছে। ব্যানারে যাদের ছবি আছে, তারা যেকোনও সময় গণপিটুনির শিকার হতে পারেন। দিল্লি হিংসার পর পরিবেশ মোটেই নিরাপদ নয়। সরকার সবাইকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে।”

বৃহস্পতিবার লক্ষ্ণৌ শহরজুড়ে ওই পোস্টার পড়ার পর এলাহাবাদ হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।