Union Jack British flag flies in bright blue sky at Houses of Parliament and Big Ben London

প্রথমবারের মতো একাই নিষেধাজ্ঞা দিতে চলেছে যুক্তরাজ্য। এতদিন জাতিসংঘ বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে সম্মিলিতভাবে নিষেধাজ্ঞা দিত দেশটি। কিন্তু ব্রেক্সিটের পর স্বতন্ত্রভাবে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার ক্ষমতা পেয়েছে ব্রিটিশ সরকার।

সোমবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব ব্রেক্সিট-পরবর্তী যুগে প্রথমবারের মতো নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত নীতিলঙ্ঘনকারীদের নাম প্রকাশ করবেন। শিগগিরই যুক্তরাজ্যের স্বতন্ত্র নিষেধাজ্ঞাগুলো কার্যকর করতে চূড়ান্ত নীতি উপস্থাপন করবেন তিনি।

বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি যারা এই অপকর্ম থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হবে তারাও যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে। এসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে এবং তাদের যুক্তরাজ্যে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে।

যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞার প্রথম তালিকায় রাশিয়া, সৌদি আরব ও উত্তর কোরিয়ার কিছু ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের নাম থাকতে পারে বলে জানা গেছে। তবে, এ তালিকায় এখনও চীনের নাম আসেনি।

সম্প্রতি চীন ‘হংকং নিরাপত্তা আইন’ পাসের পর সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশের ৩০ লাখ মানুষকে নাগরিকত্ব দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। তবে এমনটি করলে যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়েছে বেইজিং। এর জেরে বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে চীন-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র বিভাগের এক মুখপাত্র বিবিসি’কে বলেন, ‘নতুন শাসনব্যবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো মিত্রদের সঙ্গে স্বাধীনভাবে কাজ করবে যুক্তরাজ্য। যারা সাংবাদিক এবং মিডিয়াকর্মীদের বিরুদ্ধে অবৈধ হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে বা ধর্ম-বিশ্বাসের ভিত্তিতে অনৈতিক কাজে উদ্বুদ্ধ করেছে তাদের টার্গেট করবে ব্রিটিশ সরকার।’