ছবি: সংগৃহীত

রোববার (১৯ জুন) পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের থারপারকার জেলায় চিকিৎসায় ভয়াবহ গাফিলতির এই ঘটনাটি ঘটে। বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন ৩২ বছরের ওই নারী।

পাকিস্তানের জামশুরুর লিয়াকত ইউনিভার্সিটি অব মেডিক্যাল অ্যান্ড হেল্থ সায়েন্সেস (এলইউএমএইচএস) এর স্ত্রীরোগ বিভাগের অধ্যাপক রাহিল সিকন্দর বলছেন, ‘‘প্রসববেদনা উঠলে থারপারকার জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা এক নারী প্রথমে গিয়েছিলেন গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কিন্তু সেখানে কোনও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ছিলেন না। বাধ্য হয়ে এক জন অনভিজ্ঞ স্বাস্থ্যকর্মী সন্তান জন্ম দেওয়ার প্রচেষ্টা করেন। তার পরিণতি এই ঘটনা।’’

জানা গিয়েছে, রোববার গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ওই কর্মী নারীর গর্ভ থেকে নবজাতককে বের করার সময় অসাবধানতাবশত মাথাটি ভিতরেই থেকে যায়। তখন তড়িঘড়ি নারীকে নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী মিঠি নামে এক জায়গার হাসপাতালে। কিন্তু সেখানেই ওই নারীর চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থা ছিল না। শেষে তাকে আনা হয় এলইউএমএইচএস-এ। সেখানেই নতুন করে অস্ত্রোপচার করে মায়ের গর্ভ থেকে মৃত সন্তানটির মাথা বের করা হয়।

পাকিস্তানের সিন্ধু সরকার ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। সিন্ধু হেল্থ সার্ভিসেসের ডিরেক্টর জেনারেল জুমান বাহোতো জানিয়েছেন, পৃথক তদন্ত করে দেখা হবে, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের অনুপস্থিতিতে কী করে এমন ঝুঁকিবহুল কাজ করা হল।

সূত্র: ,