ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইইবি) বর্তমান কমিটির প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী আব্দুস সবুরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির নানান অভিযোগ এনে প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ। মানববন্ধনে অংশ নেন বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের নেতারা।
বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক প্রকৌশলী শাহাদাত হোসেন শেলীর নেতৃত্বে মানবন্ধনে প্রকৌশলী মামুনুর রশিদ, প্রকৌশলী বাদশা মিয়া, রেশমা আক্তার, আমিনুর রশীদ চৌধুরী মাসুদ সহ প্রায় অর্ধশতাধিক প্রকৌশলী বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে কর্মরত প্রায় ৬০ হাজার প্রকৌশলী উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তাদের পেশাগত উৎকর্ষতা সাধনের একমাত্র প্রতিষ্ঠান আইইবি যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। এছাড়াও আইইবি একাডেমিক ডিগ্রি প্রদান করে এবং গবেষণা করে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় প্রকৌশলী মো. আব্দুস সবুর ২০১৬ সালে প্রকৌশলীদের নাজেহাল করে বহিরাগতদের ভোটে আইইবির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি আইইবির অভ্যন্তরের দুর্বৃত্তায়ন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও আয়কৃত অর্থের বেহিসেবি খরচ করেন। ২০১৮ সালে প্রকৌশলী আবদুস সবুর স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। তার নৈতিকতা বিরোধী কর্মকাণ্ড ও আচরণের জন্য সাধারণ প্রকৌশলী বিশেষ করে সিনিয়র প্রকৌশলীরা আইইবিতে যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক প্রকৌশলী শাহাদাত হোসেন আইইবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাহী কমিটির অনুমোদন ছাড়া অর্থ খরচের অভিযোগ তোলেন আব্দুস সবুরের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাহী কমিটির অনুমোদন ছাড়া টেন্ডার কমিটি না করে শুধু অফিস রক্ষণাবেক্ষণ, সাধারণ উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন এবং বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পের নামে শুধু ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৬ দশমিক ২২ কোটি টাকা লোপাট করেন সবুর। ভবনের ১৪ তলায় মদ, গাঁজা ও ইয়াবা সেবনসহ নানা অনৈতিক কাজ করা হয়, যার দায়িত্বে নিয়োজিত আছে সবুরের ক্যাডার রওনক হাসানসহ আরও কয়েকজন কুখ্যাত সন্ত্রাসী। দুই বছরে আইইবির টাকায় ৩৩ বার বিদেশ সফরের নামে প্রকৌশলীদের বিপুল অর্থ লোপাট করা হয়। আইইবির সম্মানী পদ ব্যবহার করে টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করা এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রধান প্রকৌশলীদের ডেকে নিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে কাজ হাতিয়ে নেন তিনি। এই নির্বাচনসহ বিগত তিনটি নির্বাচনে প্রকৌশলীদের কোনো অংশগ্রহণ ছিল না।
এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার উপদেষ্টা প্রকৌশলী সজীব ওয়াজেদ জয়ের সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মানববন্ধনে অংশ নেওয়া প্রকৌশলীরা। এ সময় প্রকৌশলী আমিনুর রশিদ চৌধুরীর ওপর হামলাকারীদের বিচার চান তারা।