প্রতি বছর মার্চ মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার দিবসটি পালন করা হয়। ২০০৮ সালে প্রথমবার দিবসটি পালন করে ‘ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অফ স্লিপ মেডিসিন’-এর ওয়ার্ল্ড স্লিপ ডে কমিটি। তাদের মূল উদ্দেশ্য, ঘুমের অভাবে শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি সম্বন্ধে মানুষকে জানানো। সংগঠনটির এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বের অন্তত ১০০ মিলিয়ন মানুষের পর্যাপ্ত ঘুম হয় না।
অ্যাডিলেইডসের ফিন্ডার্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক লিন্ডন ল্যাক এক গবেষণায় দেখেছেন, ছুটির দিনে দুই ঘণ্টা বেশি ঘুমালে বডি কক ৪৫ মিনিট বিলম্বিত করে। এর ফলে ছুটির দিনগত রাতে আপনার ঘুম কম হবে, সপ্তাহ শুরুর দিনের কাজে আপনাকে পরিশ্রান্ত মনে হবে। তাই প্রতিদিন আট ঘণ্টা ঘুমানোই ভালো।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের পরামর্শপত্র অনুযায়ী, ৬ থেকে ৯ বছর বয়সী শিশুদের রাতে অন্তত ৯-১১ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের ৮-১০ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। আর বয়ঃসন্ধির সময়টাতে অনেকেরই প্রায় ১১ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু ১১ ঘণ্টার চেয়ে বেশি ঘুমালে তা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে।
ঘুম মানুষের শরীর সুস্থ রাখে। শিশুদের জন্য এ ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেই বিশ্রাম বা নিদ্রারই অভাব হচ্ছে আমাদের জীবনে। আর এ নিয়মিত ঘুমের পরিমাণ কমে যাওয়ার অভ্যাস শুরু হওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এ প্রজন্মের শিশুরা। কারণ, তাদের কাছে ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।