অনলাইন ডেস্ক : নিরাপদ সড়কের দাবিতে চলমান আন্দোলনে সরকার এতদিন ধরে নিশ্চুপ ছিল। বিচ্ছিন্ন কিছু স্থানে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। কিন্তু আন্দোলনের যৌক্তিকতা আর জনসমর্থন থাকায় এবং কৌশলগত কারণে মূলতঃ নিরব ছিল সরকার। কিন্তু গত কয়েকদিনে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারীদের প্রতি সরকারের অবস্থান বদলানোর ইঙ্গিত মিলেছে।

রাজধানীর বিমান বন্দর সড়কের কুর্মিটোলায় বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে গত পাঁচদিন ধরে রাজপথ অবরুদ্ধ করে রেখেছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা রীতিমতো গাড়ির মেয়াদ এবং লাইসেন্স চেক করছে। এর মধ্যে পুলিশ থেকে শুরু করে বিচারপরতি এমনকী মন্ত্রী পর্যন্ত রয়েছেন। বিষয়টি বিব্রতকর হওয়ায় এবং সরকারের পক্ষ থেকে সকল দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় অবস্থান বদলানোর চিন্তা করা হচ্ছে।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত দিতে সরকারের পক্ষ থেকে পুলিশকে নিষেধ করা হয়েছিল। সরকার আশা করেছিল, অভিভাবকেরা তাদের সন্তান ও শিক্ষকেরা ছাত্রছাত্রীদের বুঝিয়ে ক্লাসরুমে ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার থেকে আন্দোলন ছড়িয়ে গেছে সারাদেশে। যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। শিক্ষক ও অভিভাবকদের প্রতি সরকারের অনুরোধ ছিল, তারা সব দাবি মেনে নিয়েছে, এখন শিক্ষার্থীদের ঘরে ফেরাতে হবে।

এদিকে শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফুর্ত আন্দোলনে নেমে আসায় এর কোনো কাঠামো তৈরি হয়নি কিংবা প্রয়োজনও হয়নি। ছোট ছোট ছেলে-মেয়েগুলোর অভিভাবকেরাও এই আন্দোলনে সমর্থন দিচ্ছেন। এই সুযোগে দুর্বৃত্ত্বদের অনুপ্রবেশ ঘটছে আন্দোলনে। তাদের দ্বারা অনেকেই হ্যারেজমেন্টের শিকার হচ্ছেন। বিষয়টি সরকারের নজরেও এসেছে। এই আন্দোলন দমনে এখন কঠোর তবে কৌশলগত উপায় অবলম্বন করার চিন্তা করা হচ্ছে।

সূত্র : কালেরকন্ঠ