দর্পণ ডেস্ক :
বাংলাদেশ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৩৬ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে। স্বাভাবিকভাবেই এটি নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে আরেকটি লজ্জার হার। অথচ এই বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে ১৩৭ রানের জয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু করেছিল এশিয়া কাপের আসর।
বলার অপেক্ষা রাখে না আবুধাবিতে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে যেন আকাশ থেকে মাটিতে পতন। ভারতের বিপক্ষে আজ দ্বিতীয় রাউন্ডে মাঠে নামার আগে সত্যি এমন হার দলের জন্য বড় ধাক্কা। কিন্ত কেন এমন বিপর্যয়! ক্রিকেট বোদ্ধা থেকে শুরু করে সাধারণ দর্শক পর্যন্ত এমন বাজে হারের জন্য কাঠগড়াতে দাঁড়াতে হবে দলে সুযোগ পাওয়া তরুণ ও নতুনদেরই। বিশেষ করে যারা ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মাহমুদুল্লাহদের দায়িত্ব নিতে। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুতর্জার অনুরোধ ছিল অন্ততো সিনিয়রদের স্বস্তি দিতে জুনিয়ররা পারফরম্যান্স করবে। কিন্তু তার সেই আশায় গুঁড়েবালি দিয়েছেন লিটন কুমার দাস, নাজমুল হোসেন শান্তরা।
আফগানদের ৭ উইকেট হারিয়ে করা ২৫৫ রানের জবাব দিতে নেমে টাইগাররা গুটিয়ে গেছে মাত্র ১১৯ রানে।
এসিসির বিতর্কিত সূচির কারণে আফগানদের গ্রুপ পর্বের ম্যাচটির আবেদন হারায়। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ান নয়, এ ম্যাচে জয় পাওয়া ছিল টাইগারদের মর্যাদার লড়াই। কিন্তু ম্যাচের আগে ইনজুরিতে দেশ সেরা ওপেনার তামিম ছিটকে পড়েন দল থেকে।
প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানো মুশফিককে দেয়া হয় বিশ্রাম। সাকিব শুরু থেকেই ইনজুরি নিয়ে খেলছেন। আরেক সিনিয়র মাহমুদুল্লাহ প্রথম ও দ্বিতীয় ম্যাচে ছন্দ খুঁজে পাচ্ছিলেন না। দ্বিতীয় ম্যাচে তামিমের পরিবর্তে অভিষেক হয় শান্তর। টেসে হেরে ১৪ ম্যাচের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন লিটন কুমার দাসের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন নামেন এ তরুণ।
কিন্তু দুই অংকও ছুঁতে পারেননি শান্ত। তার বিদায়ে লিটনের হাল ধরার কথা থাকলেও ব্যর্থতার ধারা অব্যাহত রাখেন তিনি। প্রথম ম্যাচে ০ রানে বিদায় নেয়া লিটন করেছেন ৭ রান। ১৭ রানে দুই উইকেট হারিয়ে দল দারুণ বিপদে পড়ে। ক্রিজে তখন সহ-অধিনায়ক সাকিব। তাকে সঙ্গ দিতে আসেন তিন বছর পর দলে ফেরা তরুণ ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক।
কিন্তু তিনিও হতাশ করেন। এরপর সাকিবের সঙ্গে হাল ধরতে আসেন আগের ম্যাচে ফিফটি হাঁকানো মোহাম্মদ মিঠুন। কিন্তু এ ম্যাচে দলের জন্য অবদান মাত্র ২ রান। তবে লজ্জা বাঁচাতে সাকিবের সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মাহমুদুল্লাহ। কিন্তু সাকিব ৩৭ ও মাহমুদুল্লাহ ২৭ রানে আউট হলে লজ্জার পরাজয় ঠেকাতে ব্যর্থ হন মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজও। যদিও শেষ পর্যন্ত মোসাদ্দেক ২৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। কিন্তু মিরাজ ৪, মাশরাফি ০ ও আরেক অভিষিক্ত পেসার আবু হায়দার রনি ০ রানে ফিরে গেলে দল গুটিয়ে যায় বড় হারে লজ্জা নিয়ে।

News Editor : Ganash Chanro Howlader. Office: 38-42/2 Distillery Road, 1st floor, Gandaria, Dhaka-1204.