অনলাইন ডেস্ক : পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনে হস্তক্ষেপ চালিয়ে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন তেহরিক-ই-ইনসাফ দলকে বিজয়ী করার চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।
রাজধানীর ইসলামাবাদের অদূরে রাওয়ালপিণ্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসে এ দাবি করেন পাকসেনা মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর। তিনি বলেন, আমাদের কোনো রাজনৈতিক দল নেই। আমরা কারো আনুগত্য করি না।
আগামী ২৫ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনকে ‘স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে’ অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ভোটের দিন সারা দেশে প্রায় তিন লাখ ৭১ হাজার সেনা মোতায়েন করা হবে।
২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের এবার তিনগুণ বেশি সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সেনা মুখপাত্র বলেন, নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে সাড়া দিয়ে সেনাবাহিনী আসন্ন ভোটের সময় সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ করার পরই সেনা মুখপাত্র সংবাদ সম্মেলন করলেন।
দলগুলোর দাবি, সেনাবাহিনী পাকিস্তানের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে গণমাধ্যমকে ব্যবহার করছে। এর মাধ্যমে তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি ভোটে জয়ী হয়ে সরকার গঠনের চেষ্টা হচ্ছে।
বিশেষ করে নির্বাচনের আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও তার কন্যাকে কারাদণ্ড দেয়ার বিষয়টিকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে দেখছেন পাকিস্তানের রাজনীতিকরা।
ইমরান খান সেনাবাহিনীর সঙ্গে তার দলের আঁতাতের অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী দেশটির ইতিহাসের প্রায় অর্ধেক সময় সরাসরি শাসনক্ষমতা হাতে রেখেছে। বাকি সময়েও জননির্বাচিত সরকারের ওপর মারাত্মক প্রভাব বজায় রেখেছে এ বাহিনী।