অনলাইন ডেস্ক : অস্থির উন্মাদনায় মেতেছে ইংলিশরা। কি ছেলে, কি মেয়ে সবাই যেন দিশাহারা। শনিবার দিবাগত রাতে তারা সেমি ফাইনালে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে গেছে ইংল্যান্ড। রাস্তায় রাস্তায় গাড়ির জ্যাম লেগে যায়। ভক্ত সমর্থকরা। গাড়ির ওপর উঠে উন্মাতাল নাচ শুরু করেন।
বাস স্ট্যান্ডগুলোতে মাতোয়ারা সবাই। অ্যাম্বুলেন্সের ওপর উঠে নাচছেন কেউ। তাতে অ্যাম্বুলেন্সের অনেক ক্ষতি হয়েছে। সেদিকে কারো নজর নেই। থাকবেই বা কেন! তারা যেন বিশ্বকাপটা ছুঁই ছুঁই করছেন। এমন উত্তেজনায় কার মাথা ঠিক থাকে! তাই সুইডেনের গতির চাকা থামিয়ে দেয়ার পর ইংল্যান্ডজুড়ে এক অন্য রকম উন্মাতাল পরিস্থিতি। লন্ডনে একটি এমবুলেন্স মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারণ, বেশ কয়েকজন মানুষ তার ওপর উঠে নাট শুরু করেন। ওই এম্বুলেন্সটি একটি কলে যাচ্ছিল। লন্ডন এম্বুলেন্স সার্ভিস বলেছে, তাদের গাড়িটি রোগি আনতে যাচ্ছিল। এ সময়ে যে ক্ষতি হয়েছে তার কোনো অজুহাত চলে না। এম্বুলেন্সের উইন্ডস্ক্রিন এবং বনেটে বেশ ক্ষতি হয়েছে। ফলে ওই এম্বুলেন্সটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। এতে করে এখন আর কোনো রোগি আনার মতো পরিস্থিতি নেই। মেট্রোপলিটান পুলিশ বলেছে, তারা এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করে নি। ফুটেজে দেখা গেছে পূর্ব লন্ডনের স্ট্রাটফোর্ডে সুইজারল্যান্ডের আসবাবপত্রের স্টোর আইকিয়ার একটি শাখায় অনুপ্রবেশ করেছে ইংলিশ ভক্তরা। সেখানে তারা বিছানার ওপর লাফালাফি করেছে। আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে ক্লাপহ্যাম জংশনে একটি বাসের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ছেন একজন ভক্ত। তিনি লাফ দিয়ে অন্য ভক্তদের আশ্রয়শিবির বানানো হয়েছে এমন একটি তাঁবুর ওপর পড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ওই তাঁবুটি সহ তিনি নিজে এসে মাটিতে পড়েন। তাতে বেশ রক্তপাত হয় তার। নটিংহ্যামে একজন পুরুষকে একটি ভাঙাচোরা গাড়ির ওপর লাফাচ্ছেন এমন ছবি ধারণ করা হয়েছে। নটিংহ্যাম পুলিশ বলেছে, এ ঘটনায় সিটি সেন্টার থেকে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২৮ বছরের মধ্যে প্রথম বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড। শনিবার এই ম্যাচ উপভোগ করেছে কয়েক লাখ মানুষ। কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাতের পেনাল্টি শুটআউট প্রত্যক্ষ করেছেন কমপক্ষে এক কোটি ৬৫ লাখ সমর্থক। সুইডেনের সঙ্গে যে ম্যাচ হয়েছে তাতে এ সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে। ডিউক অব কেমব্রিজ ইংল্যান্ডের এই বিজয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, বিস্ময়কর এক বিশ্বকাপ যাত্রা ইংল্যান্ডের। আমরা এর প্রতিটি মিনিট উপভোগ করছি। এটা আমরা এখন প্রত্যাশা করি। ফুটবল আমাদের ঘরেই আসছে। ইংল্যান্ড দলের সাবেক অধিনায়ক ডেভিড বেকহ্যামও অভিনন্দন জানিয়েছেন।