গত কয়েকদিন ধরেই ঢাকার একটি গার্মেন্টস কারখানায় (মাল্টিফ্যাবস লিমিটেড) বাধ্যতামূলক নামাজ পড়ার নোটিশ দেয়ার ঘটনা নিয়ে বেশ কথা-বার্তা চলছে। তবে আমাদের কয়েকজন পাঠক বিষয়টিকে খবর হিসেবে প্রচার করাটাই পছন্দ করেননি।
সেরকম দুটি চিঠি দিয়ে আজ শুরু করছি। প্রথমে লিখেছেন ঢাকার আশুলিয়া থেকে জাফর ওয়াহিদ:
”এ’মাসের ১৬ তারিখে একটি খবর প্রচার করা হল, যেখানে বলা হল গাজীপুরে একটি কারখানায় সকল স্টাফদের তিন ওয়াক্ত নামাজ জামাতে একসাথে পড়তে বলা হয়েছে, তা নাহলে জরিমানা করা হবে। এই সংবাদটা আপনাদের নজরে আসলো। কিন্তু অফিস-এর সময় নামাজ পড়তে দেয়না বা সময় দেয়না, এমন কারখানার অভাব না থাকলেও, সেগুলো আপনাদের চোখে পড়েনা কেন? আমি দেখেছি দাড়ি বা টুপি থাকলে কারখানায় নিতে চায়না, কারণ তারা নামাজ পড়বে, এতে নাকি অফিসের প্রডাকশন লস হবে। এসব নিয়ে তো কখনো রিপোর্ট করেন না। আগে শুনেছি বিবিসি ইসলাম বিদ্বেষী, এখন নিজে প্রমাণ দেখছি।”
আপনার অভিযোগের সাথে আমি একমত হতে পারছি না মি. ওয়াহিদ। অন্তত আপনি যে উপসংহার টেনেছেন, তা আমার কাছে মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিবিসি কখনোই ইসলাম বা কোন ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে না, করার প্রশ্নই আসে না। যে খবর আমরা দিয়েছি, সেটা একটি কোম্পানির নিজস্ব সার্কুলার থেকে পাওয়া এবং কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হয়েই প্রতিবেদন প্রচার করা হয়েছে।
যেমন, সোমবারই মাল্টিফ্যাবস লিমিটেড তাদের নির্দেশ বাতিল করে, বেতন কাটার কথা বলার জন্য দু:খ প্রকাশ করে নতুন সার্কুলার জারি করে, এবং আমরা সেটাও রিপোর্ট করেছি। কিন্তু আপনি যেসব ঘটনার কথা বলছেন, সেটা যদি কোন কোম্পানির ঘোষিত নীতি হয়, তাহলে আমরা অবশ্যই সেটা নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করবো। সেরকম কোন তথ্য-প্রমাণ আমাদের হাতে না আসা পর্যন্ত আমাদের কিছু করার থাকে না।
দ্বিতীয় চিঠিটি লিখেছেন রংপুর থেকে মামুনুর রশিদ:
”গার্মেন্টস শিল্পের নামাজ পড়া নিয়ে আপনাদের খবরটা ছিল আপত্তিকর ও উদ্দেশ্যমূলক। প্রথমের খবরটা আমি সহ আমার বন্ধুদের কাছে খুবই ভালো লেগেছে । পরে আইনমন্ত্রীর কাছে নালিশের সুরে জানতে চাওয়াটা ছিল খুবই দৃষ্টিকটু। আমরা মুসলিম, নামাজ পড়া আমাদের কর্তব্য বলে মনে করি। এটা কারও কাজের ক্ষতি করে না, বরং আমাদের সামাজিক বন্ধনকে অটুট করে।”
আপনি এখানে একটি মৌলিক ভুল করছেন মি. রশিদ। বিষয়টিকে বিবিসি নিউজে পরিণত করেনি। কোম্পানিটি যখন তার কর্মচারীদের নামাজ পড়তে বাধ্য ক’রে বেতন কাটার হুমকি দেয়, তখনই সেটা নিউজে পরিণত হয়। নিউজ কোন উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয় না। যখন কোন ঘটনা ঘটে তখন সেটার গুরুত্ব যাচাই করে, আমাদের নিজস্ব বিচার-বুদ্ধি প্রয়োগ করে সিদ্ধান্ত নেই খবরটি আমাদের অনুষ্ঠানে স্থান পাওয়া উচিত কি উচিত না। আমাদের বিচারে এই খবরটি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আর খবরটি কিন্তু নামাজ পড়া নিয়ে ছিল না। নামাজ কে পড়বে আর কে পড়বে না, সেটা সবার ব্যক্তিগত ব্যাপার। খবরটি ছিল একটি কোম্পানি এক সাথে নামাজ না পড়লে তাদের কর্মচারীদের বেতন কাটার হুমকি দিয়েছে, সেটা নিয়ে।
সবাই একই কথা বলছেন না। ভিন্ন মত পোষণ করে লিখেছেন দিনাজপুরের পার্বতীপুর থেকে মেনহাজুল ইসলাম তারেক:
”কাউকে জোর করে নামাজ কিংবা অন্যান্য ধর্মীয় কাজে নিযুক্ত করার আদেশ চূড়ান্ত নৈতিক দেউলিয়াত্বের শামিল! কে কী করবে, সেটা তাঁর নিজের ব্যাপার। আপনার নিজের কাজ ঠিকমত হলেই হলো। ফোপরদালালি করবার দরকার কী? অন্য ধর্মের লোকেরাও কি নামাজ পড়বে? নাকি শুধু ছাঁকনি দিয়ে ওই কারখানায় মুসলিম নিয়োগ দেয়া ছিলো! প্রীতিভাজনেষুর মাধ্যমে এ ব্যাপারে বিবিসি বাংলার নিজস্ব বক্তব্য কী– জানতে ইচ্ছে হয়…”
আপনি অনেক দিন ধরে বিবিসি শুনছেন মি. ইসলাম, আপনি নিশ্চয়ই জানেন বিবিসি এরকম কোন বিষয়ে নিজস্ব মতামত প্রচার করতে পারে না। আমি আমার ব্যক্তিগত মতামতও প্রচার করতে পারি না। তবে এটুকু বলতে পারি, এখানে যে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার বিষয় জড়িত আছে, তা নিয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই।
এবার আসি বাক স্বাধীনতা প্রসঙ্গে। বাক স্বাধীনতা আসলে কত দূর যেতে পারে? এই প্রশ্ন করে লিখেছেন সৌদি আরবের মক্কা থেকে মোহাম্মদ কামাল হোসেন:
”মুক্ত-চর্চা ও বাক-স্বাধীনতা বলতে কি শুধু কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলার ক্ষমতাকেই বুঝায়? অথবা যার মন যা চায় তাই বলতে পারাকে বুঝায়? যদি এরকমই হয় তাহলে কি আসলেই সমাজে শান্তি আনা সম্ভব? কিছু দিন আগে শরিয়ত বয়াতি ও আরেকজন নারী বাউল শিল্পী এমন কিছু কথা বলেছিল যা থেকে কেবল অরাজকতা হবে বলেই আমি মনে করি।
”তারা গান গাইবে কি গাইবে না সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু তারা যে ধরনের কথা বলেছে, সেটা কি মুক্ত-চর্চা ও বাক-স্বাধীনতা হতে পারে? আমি প্রায়ই বিবিসি বাংলার ফেসবুক, ইউটিউব চ্যানেল-এ মানুষের মন্তব্যগুলা দেখি। অনেকেই অনেক মন্তব্য করে, কেউ কেউ অশালীন শব্দও ব্যবহার করে। এইটাও কি তাদের স্বাধীনতা?”
গালি-গালাজ বা অশালীন ভাষা আর যে কোন বিষয়ে অপ্রিয় অভিমত প্রকাশ করা তো এক জিনিস হল না মি. হাবিব। আপনি ঠিকই বলেছেন, শুধু ধর্মকে নিয়ে বিরূপ কথা বলাই বাক-স্বাধীনতা নয়। কিন্তু সত্যিকার অর্থে বাক স্বাধীনতা মানেই আপনার সব বিষয়ে নিজস্ব মতামত প্রকাশ করার অধিকার রাখা। আমার মতামত আপনার কাছে অপ্রিয় হতে পারে, কিন্তু তাতে সমাজে অশান্তি হবে কেন?
সমাজ যদি বাক স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয় এবং ভিন্ন মতের প্রতি সহিষ্ণু হয়, তাহলে শুধু মতামত প্রকাশের জন্য অশান্তি হতে পারে না। অশান্তি তখনই হবে যখন কোন এক পক্ষ অন্য পক্ষের বাক স্বাধীনতাকে যে কোন অজুহাতে অস্বীকার করবে এবং তার মত প্রকাশের অধিকার রোধ করার জন্য অশান্তি এবং সহিংসতার পরিবেশ সৃষ্টি করবে।
পরিক্রমা ফিরে আসায় রেডিওতে ইতিহাসের সাক্ষীও ফিরে এসেছে, যেটা আপনারা অনেকেই উপভোগ করছেন, যেমন লিখেছেন রাজশাহীর রানীবাজার থেকে হাসান মীর:
”ষোলই ফেব্রুয়ারি তারিখে প্রচারিত ইতিহাসের সাক্ষী অনুষ্ঠানটি শুনে খ্যাতনামা ব্রিটিশ মহাকাশ পদার্থ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের জন্য যান্ত্রিক কণ্ঠস্বর ‘পারফেক্ট পল’ এর উদ্ভাবক, আমেরিকান বিজ্ঞানী ডেনিস ক্ল্যাটের জন্য হৃদয়ে বেদনা অনুভব করলাম। হকিংয়ের ব্যাপারে যৎসামান্য জানা ছিল, তবে বাকশক্তি হারানো এই বিজ্ঞানীর কথা বলা, ভাষণ দেয়া, এমনকী মহাকাশের রহস্য সম্পর্কিত গ্রন্থ রচনা করতে বাক ও শ্রবণশক্তি বিজ্ঞানী ক্ল্যাটের অবদান সম্পর্কে কিছুই জানা ছিল না।
”দুঃখজনক ব্যাপার, যিনি নিজের কণ্ঠ ‘ধার’ দিয়ে স্পিচ সিনথাসাইজার যন্ত্রের সাহায্যে পরোক্ষে হলেও হকিংকে কথা বলাতে পেরেছিলেন, এক পর্যায়ে থাইরয়েড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি নিজেই বাকশক্তি হারিয়ে ফেললেন। এ সত্যিই নিয়তির নির্মম পরিহাস ছাড়া কিছু নয়। ডেনিস ক্ল্যাটের জন্য শ্রদ্ধা।”
স্টিফেন হকিং এবং ডেনিস ক্ল্যাটের গল্প সত্যিই অসাধারণ মি. মীর। ইতিহাসের সাক্ষী আপনার ভাল লেগেছে জেনে আমাদেরও ভাল লাগলো।
এবার ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি। আমাদের রেডিও অনুষ্ঠানে কি ভারতকে আসলেই অবহেলা করা হচ্ছে? পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ থেকে তাপস প্রামাণিক তাই লিখেছেন:
”বিবিসির নিরপেক্ষতা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই, কিন্তু যেহেতু বাংলাদেশের শ্রোতাদের জন্যই আপনারা অনুষ্ঠান সাজান, তাই আপনারা সেই ধরনের খবরই প্রচার করেন যা কেবলমাত্র বাংলাদেশের শ্রোতাদের প্রয়োজনীয় এবং তাদের মনোরঞ্জন করে। কিন্তু এটাও তো ঠিক বাংলাদেশের বাইরেও কোটি কোটি বাঙালি আছেন, তারাও বিবিসির বাংলা খবর শুনতে পারেন। আপনারাই বলুন, নিজেদের কোন খবর না থাকলে কেবলমাত্র বাংলাদেশের খবর কেন শুনবো? এটাও দেখেছি ভারতের কোন নেগেটিভ খবর থাকলে তা আপনারা অবশ্যই প্রচার করেন।”
নেগেটিভ বা পজিটিভ বলে কথা না মি. প্রামাণিক। খবরের গুরুত্ব বা শ্রোতা কোন খবর নিয়ে কত আগ্রহী হবে, এসব বিবেচনা করেই খবর বাছাই করা হয়। বাংলাদেশ থেকে অনেক খবর দেয়া হয় যেগুলো সে দেশের অনেকের কাছে নেগেটিভ বলেই মনে হয়।
যাই হোক, একই ধরনের সেন্টিমেন্ট প্রকাশ করে আরো লিখেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ থেকে মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান:
”আমি বা আমার মত অনেক বাঙালি মনে করেন যে বিবিসির বাংলা সার্ভিসের এই সংবাদ উপস্থাপনা বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য। কিন্তু ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সাড়ে নয় কোটি, আসামে প্রায় দেড় কোটি, ত্রিপুরাতে প্রায় ষাট লক্ষ, বিহার ঝাড়খন্ড মিলে প্রায় কুড়ি লক্ষ এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের সাড়ে ষোল কোটি বাঙালির বসবাস।
”কিন্তু লক্ষণীয় যে আপনাদের বিবিসি বাংলা সার্ভিসের অধিকাংশ খবরই বাংলাদেশ নির্ভর। আমরা ভারতবাসী বাঙালি, আমাদের দেশীয় খবর আপনারা কেবল ছুঁয়ে যান মাত্র। আমাদের কলকাতার সংবাদদাতা অমিতাভ ভট্টশালী ভারতের সমস্ত খবর একবার করে ছুঁয়ে যান। অপর পক্ষে, বাংলাদেশের ঢাকা স্টুডিও থেকে মুন্নি আক্তার ও অন্যান্যরা ধারাবাহিকভাবে ঘটনার ভিতরে ঢুকে সংবাদ উপস্থাপন করেন। আমরা ভারতীয় শ্রোতারা এতে খুব বিব্রত হই, ধৈর্য হারিয়ে ফেলি। এবং সংবাদ পর্যালোচনা, বিশ্লেষণ মনে হয় এক-পক্ষীয় হয়ে যাচ্ছে।‘‘
‘ভারতে কয়েক কোটি বাঙালি আছেন ঠিকই মি. মুনিরুজ্জামান, কিন্তু ভারতে বিবিসি এফএম তরঙ্গে সম্প্রচার করতে পারে না। যার ফলে ভারতে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে আমাদের রেডিও অনুষ্ঠান খুব কম লোকই শোনেন। তবে হ্যাঁ, আসাম এবং ত্রিপুরায় এখনো শ্রোতা আছেন। মুন্নি আক্তার এবং অন্যান্যরা ঢাকা স্টুডিও থেকে ইদানীং যে ধরনের সংবাদ পরিবেশন করছে, বিশেষ করে ভিডিওতে, সেটা কলকাতা থেকে করা সম্ভব না, কারণ সেখানে আমদের সেরকম কারিগরি ব্যবস্থা নেই। তবে দিল্লি থেকে সে ধরণের ভিডিও তৈরি করার কথা আমরা ভাবছি।’
আমাদের সম্পাদকীয় নীতি এবং বিশ্লেষণ নিয়ে প্রশ্ন করে লিখেছেন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থেকে মুহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল:
”বিবিসি বাংলা তার ওয়েব সাইটে “বিবিসির উপর আপনি কেন আস্থা রাখতে পারেন” এই শিরোনামে বিবিসির সম্পাদকীয় নীতিমালা কেমন তা বিস্তারিত তুলে ধরেছে, যা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এই নীতিমালায় উল্লেখ আছে, বিবিসি নিরপেক্ষ এবং তারা নিজস্ব মতামত দেয় না। তবে বিশেষ বিষয়ে তারা বিশেষজ্ঞদের মতামত প্রকাশ করে থাকে। আমার কথা হলো, এই নীতিমালা অনুসারে বিবিসি বাংলা কি বিশেষ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের কলাম প্রকাশ করতে পারে না?”
আমাদের অনুষ্ঠানে সব সময় বিশেষজ্ঞদের সাক্ষাৎকার নেয়া হয় মি. খলিল। আমাদের ওয়েবসাইটেও ‘আমার চোখে বিশ্ব’ নামে একটি মতামতের কলাম আছে। তবে যেহেতু বাংলাদেশে বেশির ভাগ বিশ্লেষক পুরুষ, তাই এই কলামে আমরা নারী লেখকদের জন্যই নির্ধারণ করেছি। এখন আমরা ভাবছি নির্দিষ্ট বিষয়ে বিশ্লেষকদের লেখা মতামত হিসেবে প্রকাশ করার কথা, তবে আমাদের একটু সতর্ক থাকবে হবে যাতে লেখকের মতামতকে কেউ বিবিসির মতামত না ভেবে বসেন, এবং যাতে এখানে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটে।
(সম্পাদকীয় নীতিমালা নিয়ে জানতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন)
এবারে আমাদের সান্ধ্য রেডিও অনুষ্ঠান প্রবাহ নিয়ে প্রশ্ন করেছেন গাইবান্ধার দারিয়াপুর থেকে মাহবুব রহমান মামুন:
”এতদিন মনে করতাম সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচিত বিষয় গুলো নিয়ে সরাসরি উপস্থাপনা করা হতো। কিন্তু এ রবিবার অনুষ্ঠানে বিঘ্ন ঘটার পর মোয়াজ্জেম হোসেন যখন বললেন অডিওটিতে সমস্যা হয়েছে, তখন মনে হল এটি আগেই রেকর্ড করা হয়ে থাকে। এটা যদি আগেই রেকর্ড করা হয়ে থাকে তাহলে ফয়সাল তিতুমীর শুরুতেই অনুষ্ঠানের উপস্থাপককে ধন্যবাদ জানান কেন?”
ভাল প্রশ্ন করেছেন মি. রহমান। তিতুমীর শুরুতে উপস্থাপককে ধন্যবাদ দেন তার পরিবেশনা প্রাণবন্ত করার জন্য এবং সেটা তার উপস্থাপনার ধরণ এবং মেজাজের সাথে ভাল ভাবে খাপ খায়। তবে আমরা কিন্তু কোথাও বলি না যে অনুষ্ঠানের এই পর্বটা সরাসরি বা লাইভ প্রচার করা হচ্ছে। আপনি যদি তাই ভেবে থাকেন, তাহলে ভুলটা কিন্তু আপনারই, আমাদের না।
রেডিও থেকে যাই টেলিভিশন প্রসঙ্গে, বাংলাদেশে চ্যানেল আইতে প্রচারিত আমাদের টেলিভিশন অনুষ্ঠান নিয়ে একটি প্রশ্ন করেছেন খুলনার দাকোপ থেকে মুকুল সরদার:
”বিবিসি প্রবাহের শুরুতে বলা হয়, এখন আপনারা দেখবেন বিবিসি বাংলা ও চ্যানেল আই এর যৌথ প্রযোজনায় বিবিসি প্রবাহ। এই যৌথ প্রযোজনা বলতে ঠিক কী বোঝানো হয়? বিবিসি বাংলার এই টেলিভিশন অনুষ্ঠানটি বিবিসি বাংলা এবং চ্যানেল আই কে কতটুকু প্রযোজনা করে থাকে? অনুষ্ঠানটির বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রেও কার ভূমিকা কতটুকু?”
এখানে চ্যানেল আই-এর সাথে বেশ সহযোগিতা আছে মি. সরদার। সম্পাদকীয় দিকটি পুরোপুরিই বিবিসির হাতে থাকে, অর্থাৎ কোন ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন করা হবে, অতিথি কে থাকবেন ইত্যাদি বিষয় বিবিসির এখতিয়ার। চ্যানেল আই-এর অবদান কারিগরি দিক থেকে আসে, যেমন সকল ক্যামেরা, লাইটিং, গ্যালারির কার্যক্রম ইত্যাদি। অনুষ্ঠান সম্প্রচারের সময় স্টুডিওতে পরিচালক অর্থাৎ যিনি ক্যামেরা নির্দেশনা করে থাকেন তিনি চ্যানেল আই-এর। সেজন্য অনুষ্ঠানকে যৌথ প্রযোজনা বলা হয়।
পরের চিঠি লিখেছেন ঢাকার গেণ্ডারিয়া থেকে মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান:
”বিবিসি বাংলার ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পাতায় মাইগ্রেন, ব্লাড প্রেশার, হার্ট অ্যাটাক ইত্যাদি নিয়ে স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক ভিডিও প্রতিবেদনগুলো দেখলাম। এগুলো দেখে খুব ভাল লেগেছে এবং প্রতিবেদনগুলো দেখে আমি অনেক অজানা তথ্য জানতে পারলাম। আমরা জানি, সুস্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা হলো শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। স্বাস্থ্য সচেতনতার নানা দিকগুলো নিয়ে ভবিষ্যতে বিবিসির কাছে আরও প্রতিবেদন প্রত্যাশা করি।”
আমাদের ভিডিওগুলো আপনার ভাল লেগেছে এবং উপকারে আসবে জেনে আমাদেরও ভাল লাগল মি. রহমান। আমরা অবশ্যই এ’ধরণের তথ্য-সমৃদ্ধ ভিডিও রিপোর্ট আগামীতে আরো অনেক করবো।
এবারে কিছু চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করা যাক
দিনাজপুর থেকে জয়দেব রায়
নওগাঁ সদর থেকে খন্দকার রফিকুল ইসলাম
দিনাজপুর থেকে রঞ্জন রোজারিও
রাজশাহী থেকে মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম।
ঢাকার পূর্ব কাফরুল থেকে এম আলম।
বাগেরহাট থেকে তৈমুর হুসাইন।
ঢাকা থেকে গোলাম মুক্তাদির।
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থেকে দীপক চক্রবর্তী।
খুলনার কপিলমুনি থেকে মোহাম্মদ শিমুল বিল্লাল বাপ্পী।
খুলনা থেকে তরিকুল ইসলাম শোভন।
সাতক্ষিরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে গাজী মোমিন উদ্দিন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল-আইন থেকে ওবায়েদুল ইসলাম উজ্জ্বল।