করোনাভাইরাস

৩৯ জনের মধ্যে ৩৭ জন পুরুষ ও দুজন নারী। তারা সবাই বিদেশ ফেরত। যার মধ্যে ইতালি ফেরতের সংখ্যাই বেশি

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত সন্দেহে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ৩৭ জন, নিকলীতে একজন এবং কিশোরগঞ্জ সদরে একজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

বুধবার (১১ মার্চ) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান।

জানা যায়, ৩৯ জনের মধ্যে ৩৭ জন পুরুষ ও দুজন নারী। তারা সবাই বিদেশ ফেরত। যার মধ্যে ইতালি ফেরতের সংখ্যাই বেশি।

ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারী সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন শনাক্ত হওয়ার পর থেকে ভৈরবে এ ভাইরাস প্রতিরোধে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে সোমবার ভৈরবে ১১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। এরপর মঙ্গলবার ও বুধবার আরও ২৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়।

তাদের প্রত্যেককে নিজ বাড়ির পৃথক কক্ষে নিবীড় পর্যবেক্ষণে রাখার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে তারা কমপক্ষে ১৪ দিন থাকবেন। পর্যবেক্ষণে থাকা অবস্থায় তাদেরকে বাইরে চলাচল ও পরিবারের সদস্যদের সাথে মেলামেশা করতে নিষেধ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন – করোনাভাইরাস: জেনে নিন কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশন কী?

জানা যায়, ভৈরবে ইতিমধ্যে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা ফারজানাকে সভাপতি এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদকে সদস্য সচিব রাখা হয়েছে।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা ব্যক্তিদের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।

করোনা আক্রান্ত সন্দেহে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পৌর ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সহকারীরা।

উপজেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট একটি আইসোলেশন ইউনিটও খোলা হয়েছে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে ভৈরব বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি ট্রমা সেন্টারে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট আইসোলেশন ইউনিটের সকল কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।