কলাপাড়া প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নতুন শিক্ষা বছরের শুরুতে শিক্ষা উপকরন ও শীত বস্ত্র হাতে পেয়ে প্রতিবন্ধী ও হতদরিদ্র শিশুদের চোখে-মুখে এখন খুশীর ঝিলিক।

উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিনের গ্রাম সামাজিক শক্তি কমিটির আর্থিক সহায়তায় এবং এনজিও ব্র্যাকের টিইউপি কর্মসূচীর উদ্যোগে গত ২৮ নভেম্বর বিকালে প্রতিবন্ধী ও হতদরিদ্র ১০০ শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষা উপকরন ও শীতবস্ত্র বিতরন করা হয়।

জানা যায়, প্রতিবন্ধকতা নিয়ে জন্ম নেয়া ফারজানা দুই পা সোজা হয়ে দাড়াতে
পারে না। এমনকি হাতের আঙ্গুলে ভাঁজ থাকায় কলম দিয়ে লিখতেও পারে না। কথা
বললেও অন্য শিশুদের মতো উচ্চস্বরে পড়তে কিংবা দৌড়াতে পারে না। উপজেলার
নয়াপাড়া গ্রামের দিনমজুর ফারুক খলিফার দুই সন্তানের বড় ফারজানা। গ্রামের
অন্য শিশুদের চেয়ে অনেকটা পিছিয়ে সে। আর্থিক দৈন্যতায় চিকিৎসা খরচ জোগাতে
গিয়ে বয়স আট পেরিয়ে গেলেও স্কুলে ভর্তি করা হয়নি ফারজানাকে।নয় বছরের জাকিয়া এখন দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। রোগে আক্রান্ত না হলে আজ চতুর্থ শ্রেণিতে পড়তো। স্বাভাবিকভাবে জন্ম নেয়া মায়াবী মুখের জাকিয়ার বয়স যখন চার তখনই এমন কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়। শরীর থেকে চামড়া, মাংস খসে পড়তে
শুরু করে। সারা গায়ে ক্ষত সৃষ্টি হয়। উপজেলার মাঝেরপাড়া গ্রামের জামান
হাওলাদারের দুই সন্তানের ছোট জাকিয়াকে তিনটি বছর ধরে বিভিন্ন হাসপাতালেও
ডাক্তারের কাছে ছুটতে ছুটতে বন্ধ হয়ে যায় তার লেখাপড়া।

জাকিয়া ও ফারজানার মতো স্কুল শিক্ষার্থী মোরসালিন, আরিফা, শাহীন, রাহাত,
আদুরীর মতো একশ শিক্ষার্থী নতুন স্কুল ব্যাগ, ছাতা ও শীত বস্ত্র পেয়ে
তাদের মুখে হাসি ফুটেছে।

বালিয়াতলী ইউপি চেয়ারম্যান এবিএম হুমায়ুন কবির বলেন, সমাজে পিছিয়ে পড়া
জনগোষ্ঠীর সহায়তায় গ্রাম সামাজিক শক্তি কমিটির সদস্যরা যেভাবে এগিয়ে
এসেছে তাতে গোটা বালিয়াতলী একদিন শিক্ষার আলোতে আলোকিত হবে। তিঁনিও এ
কর্মকান্ডে নিজেকে নিয়োজিত রাখার অঙ্গীকার করেন।