দর্পণ ডেস্ক : সার্বিয়ার সঙ্গে কসোভোর স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এবং তারও পরে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কসোভোর ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট হাশিম থাচি ছাড়াও আরও নয়জনকে অভিযুক্ত করেছে যুদ্ধপরাধ তদন্তকারী একটি আদালত। খবর আলজাজিরা।
জার্মানিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক নিয়োগ পাওয়া বিতর্কিত রাষ্ট্রদূত রিচার্ড গ্রেনেল আয়োজিত সার্বিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে এক বৈঠকে অংশ নিতে কসোভোর প্রেসিডেন্ট হাশিম থাচি যখন ওয়াশিংটনের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন তখনই এই ঘোষণা এলো।
বুধবার নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত স্পেশ্যাল প্রসিকিউটর অফিস (এসপিও) থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ১৯৮৯-৯৯ সাল পর্যন্ত সার্বিয়ার সঙ্গে চলমান কসোভোর স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রেসিডেন্ট হাশিম থাচিসহ আরও নয়জন অন্তত ১০০ জনকে হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে গুম, অত্যাচার এবং নির্যাতনের মতো অভিযোগও রয়েছে। এসপিও তাদের বিবৃতিতে বলছে, অভিযোগটি ‘দীর্ঘ তদন্তের ফল এবং এসপিও এটা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে যুক্তিসঙ্গত সন্দেহের বাইরে গিয়ে তারা সমস্ত অভিযোগ প্রমাণ করতে পারবে।’
প্রেসিডেন্ট ছাড়াও যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্তদের মধ্যে দেশটির পার্লামেন্টের সাবেক স্পিকার ও বিরোধীদল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অব কসোভোর নেতা কুদরি ভাসেলিও রয়েছেন। এদিকে এরইমধ্যে শনিবার হোয়াইট হাউসে সার্বিয়ার প্রেসিন্টেসহ নেতৃস্থানীয়দের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হবেন কসোভোর প্রেসিডেন্ট।
গত শতাব্দীর শেষ দশকে সংগঠিত ওই যুদ্ধে কসোভো লিবারেরশন আর্মির যোদ্ধাদের কমন্ডারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগকে কসোভো সরকারি কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এই ‘মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’ হিসেবে উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।