শিল্পীরা তাদের চিন্তা ও হাতের কৌশলের সমন্বয়ে যে কোনো বস্তুকে শিল্পে রূপ দেন। বস্তুটি হতে পারে মাটি, পাথর, কাঠ বা কাগজ। কারুশিল্পীরা নানান রং ও ঢঙের শিল্প-ভাস্কর্য নির্মাণ করে প্রতিনিয়তই মানুষকে অবাক করেন এবং বিনোদনের ব্যবস্থা করে থাকেন। যেমন কাগজ দিয়ে ফুল হয়, হাতি-ঘোড়া বা ফুলদানি হয়; কিন্তু এই উপকরণ দিয়ে যে শহরও হয়, তা অনেকেরই অজানা।
জাপানি কাগজ শিল্প নিয়ে অনুশীলন করেন আয়ুমি শিবাতা। তিনি কাগজ দিয়ে নানা শিল্প ও ভাস্কর্য তৈরি করে রীতিমতো চমক দেখিয়েছেন। তার নজরকাড়া সব শিল্প নিয়ে সম্প্রতি প্রদর্শনী হয়েছে। সেখানে দেখানো হয়েছে বিভিন্ন প্রকার ভাস্কর্য। এর সবই তৈরি হয়েছে কাগজ থেকে। স্তরে স্তরে কাগজ সাজিয়ে তা কেটে ত্রিমাত্রিক ভাস্কর্য তৈরি করেছেন শিবাতা।
শিবাতা প্রতিটি শিল্প বা ভাস্কর্যের জন্য কয়েক ডজন, এমনকি শতাধিক কাগজ ব্যবহার করেন। তিনি সেগুলো স্তরে স্তরে সাজিয়ে পেনসিল দিয়ে কোনো রকম দাগ কাটা বা নকশা ছাড়াই নিছক তার চিন্তাকে কাজে লাগিয়ে একেকটি শিল্প তৈরি করেন। পরে তিনি কাগজগুলো কখনও কখনও বইয়ের মতো বাঁধাই বা কাচের পাত্রে আবদ্ধ করে রাখেন। এগুলো আলোর সংস্পর্শে গেলে প্রায় জীবন্ত হয়ে ওঠে। মনে হয়, যেন একটি পরিকল্পিত শহর, বন বা বাগান।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সাদা কাগজ দেখতে খালি মনে হয়। কিন্তু আসলেই কি তা খালি থাকে? না, তাতে মিশে থাকে অসীম চিন্তাভাবনার জগৎ। তা রূপান্তর করে তৈরি করা সম্ভব নানা শিল্প। আবার এটি যেহেতু সুলভমূল্যে পাওয়া যায়, তাই এ শিল্প নিয়ে কাজ করাটাও সহজ ও আনন্দের।
শিবাতা বলেন, আমি কাগজের প্রতি কৃতজ্ঞ। আর এই উপকরণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশে আমি নানা কৌশল ব্যবহার করি। আমি বিশ্বাস করি, কাগজ কেটে নানা শিল্প তৈরি করার মাধ্যমে আমার মন ও আত্মাকে পরিশুদ্ধ করতে পারি। সূত্র :মাই মডার্ন মেট