ফাইল ফটো

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কালিনিনগ্রাদের ওই ছিটমহল মূলত রাশিয়ান বাল্টিক ফ্লিটের আবাসস্থল এবং মস্কোর পারমাণবিক সক্ষম ইস্কান্দার ক্ষেপণাস্ত্রের স্থাপনার স্থান।

ন্যাটো সদস্যভুক্ত দেশ লিথুয়ানিয়া এবং পোল্যান্ডের মাঝে ঐ রুশ ছিট্মহলের অবস্থান যেখানে রাশিয়ার সঙ্গে কালিনিনগ্রাদের কোন স্থল সীমান্ত নেই।

লিথুয়ানিয়ার এই ট্রানজিট নিষেধাজ্ঞার ফলে ইউক্রেন যুদ্ধের পর নতুন করে রাশিয়া ও ন্যাটোর মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

শনিবার থেকে ওই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে জানিয়ে লিথুয়ানিয়ার রাষ্ট্রীয় রেলসেবা জানায়, ইউরোপীয় কমিশনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা হিসেবে ঐ ট্রানজিট নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হল।

লিথুয়ানিয়ার রেল সার্ভিসের মুখপাত্র বিষয়টি নিশ্চিত করলেও এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।

এদিকে কালিনিনগ্রাদের গভর্নর আন্তন আলিখানভ এক ভিডিও বার্তায় বলেন, এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ আমদানি পণ্যের উপর প্রভাব ফেলবে।

এই নিষেধাজ্ঞাটি কালিনিনগ্রাদ থেকে আমদানি করে এবং লিথুয়ানিয়া হয়ে রাশিয়ায় রফতানি করে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করবে। রাশিয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে কয়লা, ধাতপ পদার্থ, নির্মাণ সামগ্রী ও উন্নত প্রযুক্তির জিনিসপত্র।

আতঙ্কিত হয়ে স্থানীয়দের জিনিসপত্র মজুদ না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যদি দ্রুত এই নিষেধাজ্ঞা তুলে না নেয়া সম্ভব হয় তাহলে জাহাজের মাধ্যমে রাশিয়ায় পণ্য পরিবহনের বিষয়ে আলোচনা করা হবে।