র্যাব ৩ এর সহকারী পুলিশ সুপার আবু জাফর বিবিসি বাংলাকে জানান গতকাল সোমবার মধ্যরাতের পর থেকেই এনামুল হক এবং তার ভাই রুপন ভূঁইয়ার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়।
ঢাকার গেণ্ডারিয়ায় এটি তাদের নিজেদের বাড়ি। তবে তাদের একাধিক বাড়ি রয়েছে বলে র্যাব জানাচ্ছে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানাচ্ছেন “টাকা এখনো গুনে শেষ করা যায়নি। তবে আনুমানিক মনে হচ্ছে ২০ কোটির টাকার বেশি হবে”।
এছাড়া ৫ কোটি টাকার এফডিআর এবং প্রচুর স্বর্ণালংকার ৫ টি সিন্দুকের ভল্ট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
মি. জাফর বলছেন “স্বর্ণালংকারের পরিমাণ এখানো জানা যায় নি। এছাড়া ক্যাসিনোর চিপস পাওয়া গেছে”।
পুরান ঢাকার লালমোহন সাহা স্ট্রিটের ছয় তলা ভবনের নিচ তলায় এসব সম্পদ ছিল বলে র্যাব জানিয়েছে। র্যাবের এই কর্মকর্তা বলছেন সব সম্পদের হিসেব শেষ হলে সেগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হবে।
গত বছর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর এই দুই ভাই আলোচনায় আসেন।
গত বছর সেপ্টেম্বরে ঢাকার কয়েকটি ক্লাবের সঙ্গে এই দুই ভাই এর মালিকানাধীন ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে অভিযান চালিয়ে জুয়ার সরঞ্জাম, কয়েক লাখ টাকা ও মদ উদ্ধার করে র্যাব।
শুরু থেকেই তাঁরা পলাতক ছিলেন।তবে গত জানুয়ারি মাসে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
তাদের বিরুদ্ধে মোট সাতটি মামলার করা হয়, যার মধ্যে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনা ও অর্থ-পাচারের অভিযোগে চারটি মামলার তদন্ত করছে সিআইডি।
২০১৮ সালে এনামুল হক গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির পদ পান। আর রূপন ভূঁইয়া পান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের পর তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
শহরে ট্রাম্প, তবু যেভাবে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল দিল্লি