গোফরান পলাশ, পটুয়াখালী সংবাদদাতা: পটুয়াখালীর গলাচিপা, দশমিনা, রাঙ্গাবালী,
কলাপাড়া উপকূলের পানপট্টি, পক্ষিয়া, গোলখালী, বদনাতলী, ডাকুয়া, উলানিয়া,
গজালিয়া, আমখোলা, কলাগাছিয়া, চিকনিকান্দী, চরকাজল, চরবিশ্বাস, পাতারচর,
আউলিয়াপুর, ফেলাবুনিয়া, চালিতাবুনিয়া, বড়বাইশদিয়া, মৌডুবী, গাইয়াপাড়া,
লালুয়া, দেবপুর, বিপিরপুর, সুধীরপুর গ্রাম হারিয়ে যেতে বসেছে নদী
ভাঙ্গনের কবলে পড়ে। খরস্রোতা রামনাবাদ, বুড়া গৌরঙ্গ, আগুণমুখা ও
তেতুঁলিয়া নদীর রাক্ষসী ছোবলে এসব গ্রামের স্বপ্নের বাড়ি-ঘরসহ বিলীনের
পথে ফসলী ক্ষেত, সবুজ গাছ পালা।
উপকূলীয় এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে ভাঙ্গন এখন মানুষের চিন্তার কারন।
দিনে দিনে ছোট হয়ে আসছে গলাচিপা, দশমিনা, রাঙ্গাবালী, কলাপাড়া উপকূলের
উপজেলার মানচিত্র। নদী ভাঙ্গন প্রতিনিয়ত কেড়ে নিচ্ছে স্বপ্নের ঘরবাড়ি।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষের আবেদন দ্রুত ভাঙ্গন
রোধের ব্যবস্থা গ্রহনের।
গলাচিপার গোলখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাসিরউদ্দিন হাওলাদার,
চরকাজল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান, রতনদী তালতলী ইউনিয়নে
চেয়ারম্যান গোলাম মস্তফা খান, গলাচিপা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর
রহমান হাদী বলেন, আমাদের এলাকাগুলো নদী বেষ্টিত এলাকা বলে প্রতিবছর নদী
ভাংগনের কবলে পড়ে মানুষের ঘর বাড়ীসহ বিভিন্ন শিক্ষা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
বিলীন হয়ে যাচ্ছে ।
রনগোপালদী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এটি এম আসাদুল হক নাসির সিকদার বলেন,
তেতুঁলিয়া নদীর পার্শবর্তী মৎস্য ব্যবসায়ী ও বসবাসরত এলাকার মানুষ নদী
ভাঙ্গন আতংঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
কলাপাড়ার লালুয়া ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস বলেন, রামনাবাদ
নদীর ভাঙ্গনে শত শত মানুষ আজ বাড়ী-ঘর জমি জায়গা হারিয়ে নি:স্ব হয়ে গেছে।
এখন জোয়ার ভাটা নির্ভর হয়ে গ্রামের মানুষের জীবন যাত্রা।
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার জানান, নদী ভাঙ্গনের বিষয়টি
লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দশমিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.
আল-আমিন বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পানি উন্নয়ন বোর্ড এর উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে
জানিয়েছেন।
গলাচিপা-দশমিনা আসনের সাংসদ এসএম শাহাজাদা সাজু জানান, সরকার প্রধান
জননেত্রী শেখ হাসিনা ভাঙ্গন রোধে পদক্ষেপ গ্রহনে অত্যন্ত আন্তরিক। তার
নির্দেশে ইতিমধ্যে ভাঙ্গন রোধে পদক্ষেপ গ্রহনের কার্যক্রম চলছে। আমিও
আশাবাদী, ইনশাহ্ আল্লাহ্, অতি শীঘ্রই বানভাসি মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস
নিয়ে জীবনযাপন করতে পারবেএবং টিকে থাকবে তাদের স্বপ্নের ঠিকানা।