জনগণকে সংগঠিত করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে
দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের অবস্থান দেখে তাৎক্ষণিক
প্রতিক্রিয়ায় তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া তিনি এতো
অসুস্থ যে, তার অসুস্থতার পরেও তাকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না। এটা অত্যন্ত
ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করছি জনগণকে সংগঠিত করে
দেশনেত্রীকে ফিরিয়ে আনার জন্য, তাকে মুক্ত করার।
আপনারা আগে বলেছিলেন, ‘পুলিশের অনুমতি ছাড়াই সমাবেশ করবেন’- সাংবাদিকদের
এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের পক্ষে যতটুকু করা সম্ভব তা
আমরা চেষ্টা করছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণকে দমিয়ে সরকার
রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। জনগণের ম্যান্ডেটবিহীন সরকার জনগণের সব অধিকার কেড়ে
নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় তারা সমাবেশ করতে দিচ্ছে না। এর ধারাবাহিতকতায়
র্যালি করতে অনুমতি দেয় না।
তিনি বলেন, এটা এখন একটি গতানুগতিক ব্যাপার হয়ে
দাঁড়িয়েছে। মানুষের আকাঙ্খাকে দমিয়ে রেখে এরা রাষ্ট্র পরিচালনা করতে চায়,
রাষ্ট্র পরিচালনা করছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন
উচ্চ আদালতে খারিজের প্রতিবাদে কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয়
দলটি। তবে পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় রোববার ঢাকা মহানগরের প্রত্যেক
থানায় এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
সমাবেশের কর্মসূচিকে সামনে রেখে সকাল থেকে কার্যালয়ের সামনে ব্যাপক সংখ্যক
পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়। অফিসের প্রধান ফটকের সামনের
ফুটপাত দিয়ে সাধারণ মানুষের চলাচলও পুলিশ বন্ধ করে দেয়।
বেলা সাড়ে ১১টার
দিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নয়া পল্টনের কার্যালয়ে
আসেন। সে সময় পুলিশ কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়েছিলো। বিএনপি মহাসচিব পুলিশকে গেইটের কাছ থেকে একটু দূরে থাকার জন্য অনুরোধ জানান। পরে অবশ্য পুলিশ দূরে সরে
যায়। প্রায় দেড় ঘন্টা অবস্থান নিয়ে মির্জা ফখরুল কার্যালয় থেকে চলে যান।