দর্পণ ডেস্ক : জ্বালানি তেলের সংকটে বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সূচি করে লোডশেডিং দিচ্ছিল সরকার। অফিস সময়েও আনা হয় পরিবর্তন। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে জারি করা হয় বিভিন্ন নির্দেশনা। তারপরও গত কয়েকদিনে দেশে লোডশেডিং আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দিন-রাতসহ প্রায় সময় হচ্ছে লোডশেডিং। এর মধ্যেই বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানালেন, তাপমাত্রা কমে চাহিদা হ্রাস পেলেই কমবে লোডশেডিং।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মনে হয় (বিদ্যুৎ সরবরাহ) খারাপের দিকে যাচ্ছে এটা সত্য। তবে বেশি খারাপের দিকে যাচ্ছে না। আমাদের ধারণা ছিল অক্টোবরের দিকে বিদ্যুতের চাহিদা কমে আসবে। কারণ তখন আবহাওয়া ঠাণ্ডা হয়ে যাবে। কমের মধ্যে আমরা এটা ম্যানেজ করতে পারবো। এছাড়া আমরা জ্বালানি আনতে পারছি না। আমাদের বিদ্যুৎকেন্দ্র বসে আছে।’ নসরুল হামিদ বলেন, ‘তাপমাত্রা কমলে চাহিদা কমে যাবে। চাহিদা কমলে বিদ্যুৎ ম্যানেজ করতে পারবো। আমরা মনে করেছিলাম, চাহিদা কমে আসবে। কিন্তু আবহাওয়ার যে অবস্থা, বিদ্যুতের চাহিদা আগের মতোই রয়ে গেছে। এটা একটা বড় বিষয়। আমি আশা করেছিলাম বিশ্বব্যাপী গ্যাসের দাম কমে আসবে। যদিও কিছুটা কমেছে স্পট মার্কেটে, কিন্তু যে গ্যাস ৫ ডলারে কিনতাম সেটা এখন ২৮ ডলার হয়েছে। যেটা গত মাসের আগের মাসে ছিল ৪৭ ডলার। কমার পরও আমার জন্য তো এটা বেশি। এছাড়া ডলারের দামও বেড়েছে।’ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি, একটু ধৈর্য ধরা দরকার।