অনলাইন ডেস্ক : পটুয়াখালীর গলাচিপায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার মেধাবী শিক্ষার্থী সাবিকুন নাহার (২২)’র চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে এল উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার ( ১০জুলাই) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌছিফ
আহমেদ সাবিকুন’র মায়ের হাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তুলে দিলেন ১৩ হাজার টাকা। এদিকে গলাচিপা মহিলা কলেজ, প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ইউনিটি সাবিকুন’র উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করে
শাস্তির দাবী জানায়।
জানা যায়, গলাচিপা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের শ্যামলীবাগ এলাকার কাঠ শ্রমিক জালাল মৃধার মেয়ে সাবিকুন নাহার বুধবার (৪জুলাই) তাদের বাসার সামনে গাছের পেয়ারা ছিড়তে নিষেধ করে। এনিয়ে বাক-বিতান্ডার একপর্যায় একই এলাকার বেল্লালের নেতৃত্বে ৪/৫জন বখাটে তাকে বেদম মারধর করে। এসময় সাবিকুন জ্ঞান হারিয়ে সড়কের ওপর লুটিয়ে পড়ে। এতে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয় সে। তাৎক্ষনিকভাবে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে বৃহস্পতিবার তার জ্ঞান ফিরলেও বর্তমানে তিনি বাকরুদ্ধ। চিকিৎসকরা জানান, বর্তমানে তার অবস্থা আশংকাজনক।
সাবিকুনের বাবা জালাল মৃধা টাকার অভাবে সম্পূর্ণ চিকিৎসা না করে বরিশাল থেকে গলাচিপার নিজ বাসায় নিয়ে আসেন সাবিকুনকে। মেধাবী ছাত্রীর এই সংকটাপন্ন অবস্থা সংবাদকর্মীর মাধ্যমে জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌছিফ আহমেদ ও ওসি জাহিদ হোসেন সাবিকুনকে দেখতে যান এবং মেধাবী ছাত্রীর চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
তারা ভিকটিম এ কাছ থেকে ঘটনার বিবরন শোনেন এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন।
এদিকে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ২ নং ওয়ার্ডের পৌর কমিশনার আখি হাওলাদার ইতিমধ্যে সাবিকুনের পরিবারকে সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা চিকিৎসার জন্য দেয়। সাবিকুনের পরিবারকে আইন আদালতে না গিয়ে বিষয়টি মিমাংসার কথা বলেন।