অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর নিকেতন আবাসিক এলাকার একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থার অফিস থেকে একজন কর্মচারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত নাম মো. শাকিল (১৮) ‘টিনসেল টাউন’ নামের বিজ্ঞাপনী সংস্থাটির অফিসেই থাকতেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিকেতনের বি-ব্লকের ৩ নম্বর সড়কের ১৬ নম্বর বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
অফিসের মেঝেতে নিজের বিছানায় শাকিলের লাশ পাওয়া যায় বলে গুলশান থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘শাকিলের গলা ও হাতে ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছি।’
নিহত শাকিলের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী। বিজ্ঞাপন সংস্থাটিতে তিনি একবছরেরও বেশি সময় ধরে অফিস সহকারী পদে কাজ করছিলেন।
ওসি আবু বকর সিদ্দিক জানান, সোমবার বিকালে বিজ্ঞাপনী সংস্থাটির মালিক আবুল খায়ের অফিস শেষে বাসায় চলে যান। এরপর অফিসে শাকিল ছিলেন। শাকিলের কাছেই অফিসের চাবি থাকে। মঙ্গলবার সকালের পর শাকিলের বাবার মোবাইল ফোনে একটি নম্বর থেকে কল যায়। শাকিলকে অপহরণ করা হয়েছে দাবি করে ফোনকারী তার কাছে মুক্তিপণ চায়। এরপর শাকিলের বাবা ও বিজ্ঞাপনী সংস্থার মালিক আবুল খায়ের গুলশান থানায় বিষয়টি জানান। মুক্তিপণ নিয়ে ফোনকারীদের সঙ্গে কথা হলেও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি শাকিলের। পুলিশ কৌশল অবলম্বন করে শাকিলের পরিবারকে দিয়ে যোগাযোগ অব্যাহত রাখা হয়। মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার জন্য নিকেতনের এই অফিসের কাছে স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। মুক্তিপণের টাকা নিতে এলে ধরার পরিকল্পনা থেকে পুলিশ সদস্যরা সকাল থেকেই ওই বিজ্ঞাপনী সংস্থার অফিসের আশপাশে অবস্থান নিয়ে থাকেন। এজন্য অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে যেতে বারণ করা হয়।
ওসি বলেন, দুই-তিন বার টাকার জন্য সময় ও স্থান নির্ধারণ করার পরেও কেউ টাকা নিতে না আসায় না আসায় পুলিশ সন্ধ্যায় অফিসের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। সেখানে তার রক্তাক্ত মৃতদেহ পাওয়া যায়।
হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
শাকিলের বাবার সহকর্মী মোশারফ হোসেন বলেন, ‘হত্যা করে বাইরে থেকে অফিসের দরজায় তালা লাগিয়ে চাবি নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। শাকিলকে যে ভেতরে আছে তা কেউ ধারণা করতে পারিনি।’